সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ আবার পেছাল

শাহ এ এম এস কিবরিয়া

সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ আবার পিছিয়েছে। তিন আসামি ও সাক্ষীরা আদালতে উপস্থিত না থাকায় আজ রোববার সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. শাহাদাৎ হোসেন প্রামাণিক সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর নতুন দিন ধার্য করেছেন। এর আগের তারিখে আসামি ও সাক্ষীরা উপস্থিত না হওয়ায় সাক্ষ্য গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।

সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) সরওয়ার আহমদ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যা মামলায় অভিযুক্ত তিন আসামিকে অন্য মামলায় ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। তাঁরা ঢাকায় কারাগারে বন্দী। ওই তিন আসামি আদালতে না থাকায় এবং সাক্ষীরা উপস্থিত না হওয়ায় সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ পেছানো হয়েছে। একই কারণে আগের তারিখে সাক্ষ্য গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়নি।

সরওয়ার আহমদ বলেন, মামলার অভিযুক্ত আসামিদের মধ্যে মো. আবদুল মাজেদ ওরফে ইউসুফ ভাট, শেখ ফরিদ শওকত ওসমান ও মুফতি শফিকুর রহমানের অন্য মামলায় ফাঁসির রায় হয়েছে। এ ছাড়া সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। এ জন্য তাঁরা আদালতে হাজির ছিলেন না।

২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে একটি জনসভা শেষে বের হওয়ার পথে গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হন শাহ এ এম এস কিবরিয়া। চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। ওই হামলায় তাঁর ভাতিজা শাহ মঞ্জুরুল হুদা, আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা আবদুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী নিহত এবং আরও ৭০ জন আহত হন।

ঘটনার পরের দিন হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা হয়। পরে মামলা দুটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) হস্তান্তর করা হয়। তদন্ত শেষে ২০০৫ সালের ১৮ মার্চ শহীদ জিয়া স্মৃতি ও গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল কাইউমসহ ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি।

ওই অভিযোগপত্রের বিষয়ে আদালতে নারাজি আবেদন করে বাদীপক্ষ। পরে মামলা পুনঃতদন্তের পর ২০১১ সালের ২০ জুন আসামির সংখ্যা ১৬ বাড়িয়ে ২৬ জনের নামে দ্বিতীয় দফা অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। এটি নিয়েও আপত্তি জানায় নিহত কিবরিয়ার পরিবার।

সর্বশেষ ২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। এতে নতুন করে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, বিএনপির নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ ৩৫ জনকে আসামি করা হয়। পরে ২০১৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।