মহেশখালীতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ

মহেশখালীতে ঝোড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে গাছ উপড়ে পড়ে বিভিন্ন স্থানে। এতে পল্লী বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যায়। ছবিটি আজ সকালে হোয়ানক এলাকা থেকে তোলাপ্রথম আলো

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে প্রচণ্ড বাতাসের পাশাপাশি ঝোড়ো হাওয়া বইছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যার পর থেকে ঝোড়ো হাওয়ায় গাছপালা উপড়ে পড়ে বিভিন্ন স্থানে পল্লী বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের ওপরে গাছের ডালপালা ভেঙে পড়ছে। এ কারণে রোববার রাত দেড়টা থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে উপজেলার একটি পৌরসভার ও আটটি ইউনিয়নের অন্তত ৭০ হাজার গ্রাহক।

পল্লী বিদ্যুতের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে গাছের ডালপালা ভেঙে পড়ে পল্লী বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনের ওপর। এ ছাড়া ৫৫টি স্থানে পল্লী বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনের তার ছিঁড়ে গেছে। এ কারণে রোববার রাত দেড়টা থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

জানতে চাইলে কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহেশখালী জোনাল অফিসের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) নাজমুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, লাইন স্বাভাবিক করতে আজ সোমবার সকাল থেকে পল্লী বিদ্যুতের ৬০ জন কর্মী মাঠে কাজ করছেন। ঝড়ে নষ্ট হয়েছে পাঁচটি ট্রান্সফরমার ও ৫৫টি বৈদ্যুতিক মিটার। তবে সন্ধ্যার মধ্যেই লাইন চালু করার জন্য চেষ্টা চলছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে মহেশখালী পৌর এলাকা, কুতুবজোম ও মাতারবাড়ী ইউনিয়নে কয়েকটি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ সময় জোয়ারের কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েক শ কাঁচা ঘরবাড়ি। বন্ধ রয়েছে মাতারবাড়ী সড়ক যোগাযোগ।

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে আজ দুপুরে মহেশখালী পৌরসভার সিকদার পাড়া এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। এতে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে জোয়ারের পানি’
প্রথম আলো

জানতে চাইলে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মীকি মারমা বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে এলাকায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত মাতারবাড়ী ইউনিয়নে ৪০টি ঘর ভেঙে গেছে বলে তাঁর কাছে তথ্য এসেছে। কিন্তু সকাল থেকে ঝোড়ো হাওয়া থামছে না। তাই ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি।