বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করা প্রকাশ্য সংগঠন। চাইলেই বিএনপিকে হেফাজতের কায়দায় মোকাবিলা করা যাবে না। খুলনার মানুষ ২২ অক্টোবর শেখ হাসিনাকে লাল কার্ড দেখিয়ে দিয়েছেন। ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর মহাসমাবেশ থেকে শেখ হাসিনার পতনের ঘণ্টাধ্বনি বাজানো হবে।
আজ বৃহস্পতিবার খুলনায় বিএনপি আয়োজিত ‘ধন্যবাদ জ্ঞাপন সভা’য় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী এ কথা বলেন। ২২ অক্টোবর খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করায় মহানগর ও জেলা বিএনপি যৌথভাবে খুলনা প্রেসক্লাবে ওই ধন্যবাদ জ্ঞাপন সভা আহ্বান করে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী বলেন, ‘খুলনার সমাবেশ বানচালে সরকার, পুলিশ প্রশাসন ও শাসকদলীয় সন্ত্রাসীরা ত্রিমুখী চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল। হামলা, মামলা, নির্যাতন, গণগ্রেপ্তার মোকাবিলা করেই বিভাগের ১০ জেলা থেকে আগত নেতা-কর্মীরা কর্মসূচিকে সফল করেছেন। সারা দেশে চলমান ধারাবাহিক কর্মসূচিতে খুলনার গণসমাবেশ রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সবকিছু পর্যবেক্ষণ করেছেন। তিনি খুলনার আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।’
বক্তারা বলেন, খুলনার কর্মসূচিতে অংশ নিতে গিয়ে যাঁরা আহত হয়েছেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে তাঁদের সবাইকে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
স্বাগত বক্তব্যে খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য রকিবুল ইসলাম বলেন, ‘শত নির্যাতন আর বাধার পাহাড় ডিঙিয়ে খুলনা পরিণত হয়েছিল জনসমুদ্রে। গুলি করে, কুপিয়ে জখম করে, দলীয় কার্যালয়ে আগুন দিয়ে, পথে পথে বাধা দিয়ে, হামলা চালিয়ে জনস্রোতকে ঠেকানো যায়নি। আমরা জানতাম না ২২ তারিখের গণসমাবেশ ২১ তারিখ রাতেই শুরু হয়ে যাবে। খুলনা বিভাগের মানুষ দেখিয়ে দিয়েছে কীভাবে সমাবেশ সফল করতে হয়।’
ফুলতলা বিএনপি নেতা ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাশারসহ নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা, মহানগর বিএনপির সদস্য হাসিনুল ইসলামসহ দেড় শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার, দলীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ, বিএনপি নেতাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর-লুটপাটের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে রকিবুল ইসলাম বলেন, ‘সরকার যত বেপরোয়া হবে, বুঝে নিতে হবে আমরা বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে। শেখ হাসিনার পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। “চলো চলো ঢাকা চলো” স্লোগান ধারণ করে ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর মহাসমাবেশ সফল করতে হবে।’
বক্তারা বলেন, খুলনার কর্মসূচিতে অংশ নিতে গিয়ে যাঁরা আহত হয়েছেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে তাঁদের সবাইকে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। অনেকের সঙ্গে তিনি নিজে কথা বলেছেন। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহত ব্যক্তিদের দেখতে খুলনা এসেছেন। যাঁরা কারাগারে ছিলেন, তাঁদের জামিনে মুক্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান। মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব শফিকুল আলম ও জেলার সদস্যসচিব মনিরুল হাসানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন বাগেরহাট জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মোজাফফর হোসেন আলম, মহানগর সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তারিকুল ইসলাম, বিএনপি নেতা আবু হোসেন, কাজী মো. রাশেদ, সৈয়দা রেহানা ঈসা, ফখরুল আলম প্রমুখ।