এ ঘটনায় আটক ব্যক্তিরা হলেন—টাঙ্গাইলের নাগরপুর তেবাড়িয়া পূর্বপাড়া গ্রামের মাখন মিয়া, তাঁর ছেলে সোহাগ হোসেন, সোহাগের স্ত্রী সুমাইয়া, সোহাগের মা চায়না খাতুন ও সোহাগের খালা জুলেখা খাতুন।

পুলিশ ও নিহত শিশুর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গাজীপুর শহরে লতিফের বাড়িতে অভিযুক্ত সোহাগের পরিবার ভাড়া থাকত। বাড়ি ভাড়ার টাকা দেওয়া নিয়ে সম্প্রতি লতিফের সঙ্গে তাঁদের বাগবিতণ্ডা হয়। এ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে কৌশলে শুক্রবার সকালে তানজিদকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন সোহাগ। এর পর থেকে তানজিদকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এদিকে সোহাগের পরিবারও গা ঢাকা দিয়েছিল। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তানজিদের সন্ধান না পেয়ে শুক্রবার রাতেই গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গাছা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন লতিফ। পরে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গতকাল শনিবার রাতে টাঙ্গাইলের নাগরপুর এলাকা থেকে সোহাগ ও তাঁর পরিবারের চারজনকে আটক করে। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজ সকালে যমুনা নদীর চর থেকে মাটির নিচে পুঁতে রাখা অবস্থায় শিশু তানজিদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

চৌহালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ বলেন, নিহত শিশুর লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। লাশের গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন আছে। এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সোহাগসহ পাঁচজনকে আটক করে প্রথমে চৌহালী থানা পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়। পরে তাঁদের গাজীপুরের গাছা থানা–পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

গাছা থানার ওসি ইব্রাহিম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, আটক ব্যক্তিদের অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। লিখিত অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ডের প্রস্তুতি চলছে।