আদালতে হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে হত্যা মামলার আসামিকে কুপিয়ে জখম
মাদারীপুরে আদালতে হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে হত্যা মামলার এক আসামিকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। সোমবার বেলা দেড়টার দিকে মাদারীপুর আদালত প্রাঙ্গণের প্রধান সড়কের সামনে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত ওই আসামির নাম অহিদ হাওলাদার (৩৬)। তিনি কালকিনি উপজেলার আলীনগর এলাকার আয়ুব আলী হাওলাদারের ছেলে। ওই এলাকার এমারাত সরদার হত্যার মামলার ৩ নম্বর আসামি তিনি। আহত অহিদ হাওলাদার পেশায় একজন কৃষক।
থানা-পুলিশ ও ভুক্তভোগীর স্বজনদের সূত্র জানায়, চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি মাদারীপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তাহমিনা সিদ্দিকীর সমর্থকেরা একটি বিজয় মিছিল বের করেন। মিছিলটি কালীগঞ্জ থেকে ফাসিয়াতলা বাজারের যাওয়ার সময় বেশ কয়েকটি হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে আহত এমারাত সরদার আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান।
এই ঘটনায় নিহতের ছেলে হাসান সরদার বাদী হয়ে ২০ জনের নামে কালকিনি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এই হত্যা মামলায় হাজিরা দিতে মাদারীপুর আদালতে আসেন অহিদ হাওলাদার। আদালতের কাজ শেষে অহিদ বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিলে প্রতিপক্ষের তাইজুল সরদার, জহির চৌদিকারসহ কয়েকজন তাঁর ওপর অতর্কিত হামলা চালান। আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে পালিয়ে যান হামলাকারীরা। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় অহিদকে উদ্ধার করে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত অহিদের ছোট ভাই নাহিদ হাওলাদার বলেন, ‘আমার ভাইকে কুপিয়ে আহত করেছে তাইজুল ও জহির। তাদের সঙ্গে অনেক লোক ছিল। আমার ভাইয়ের অবস্থা বেশি ভালো নয়। এই ঘটনার বিচার চাই।’
এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন তাইজুল সরদার ও জহির চৌকিদার। তাঁরা বলেন, অহিদ হত্যা মামলার আসামি। এই মামলা থেকে নিজেকে বাঁচাতে এই হামলার নাটক সাজানো হয়েছে। এ অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা রিয়াদ মাহমুদ বলেন, আহত অহিদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। অস্ত্রোপচার করা প্রয়োজন। আপাতত প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রক্তপাত বন্ধ করা হয়েছে।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম সালাউদ্দিন বলেন, অহিদ হাওলাদারকে কুপিয়ে আহত করার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিবার থেকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।