ঘাস খেতে খেতে ভারতে চলে গিয়েছিল ছাগল, পতাকা বৈঠকের পর ফেরত

বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকের পর ছাগলগুলো ফেরত দেয় বিএসএফ। পরে স্থানীয় কাউন্সিলরের মাধ্যমে ছাগলগুলো মালিককে ফেরত দেয় বিজিবি। মঙ্গলবার দুপুরেছবি: সংগৃহীত

বিকেলে ঘাস খাওয়ানোর জন্য বাড়ির সামনে সীমান্তবর্তী রেললাইনের পাশে নিজের তিনটি ছাগল ছেড়ে দিয়েছিলেন গৃহিণী চায়না বেগম। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়। কিন্তু ছাগলের বাড়ি ফেরার নাম নেই। রেললাইনের আশপাশে অনেক খুঁজলেন, কিন্তু পেলেন না। ধারণা করেন, রেললাইন পার হয়ে সীমানা অতিক্রম করে ভারতে ঢুকেছে ছাগলগুলো।রাতেই শূন্যরেখায় টহলে থাকা বিজিবির সদস্যের কাছে ছাগল হারানোর কথা জানান চায়না বেগম। পরে বিজিবি খবর পাঠায় বিএসএফকে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পতাকা বৈঠকের পর তিনি নিজের ছাগলগুলো ফেরত পান চায়না।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দিনাজপুরের হিলি সীমান্তের ৬ নম্বর বিজিবি পোস্ট-সংলগ্ন শূন্যরেখায় বিএসএফের হিলি ক্যাম্পের উপপরিদর্শক রাজেস বালুদাহ বিজিবির হিলি আইসিপি ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার ফজলুর রহমানের হাতে ছাগলগুলো বুঝিয়ে দেন। পরে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর রফিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে ছাগলের মালিক চায়না বেগমকে ছাগলগুলো বুঝিয়ে দেয় বিজিবি।

হাকিমপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল সোমবার শেষ বিকেলে পৌর শহরের ধরন্দা মহল্লার চায়না বেগম বাড়ির সামনে রেললাইনের পাশে তিনটি ছাগলকে ঘাস খাওয়ানোর জন্য ছেড়ে দেন। সন্ধ্যায় রেললাইনের পাশে গিয়ে ছাগলগুলো দেখতে পাননি। পরে আশপাশে অনেক খোঁজাখুঁজি করেন। কোথাও না পেয়ে সন্ধ্যায় বাড়ির পাশে টহলে থাকা বিজিবির সদস্যদের জানান। পরে বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের পর ছাগলগুলো ফেরত পান।

হিলি আইসিপি বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার ফজলুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় ওই নারীর তিনটি ছাগল ভারতের ভেতরে যায়। পরে বিএসএফের সদস্যরা ছাগল তিনটি সীমান্ত থেকে উদ্ধার করে বিএসএফের হিলি ক্যাম্পে তাঁদের হেফাজতে রাখেন। এ বিষয়ে বিএসএফ ক্যাম্পে যোগাযোগ করা হলে আজ দুপুরে হিলি সীমান্তের ধরন্দা এলাকায় দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পতাকা বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে বিএসএফ ছাগলগুলো ফেরত দেয়। পরে স্থানীয় কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে ছাগলগুলো মালিককে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।