বিদ্যালয়ের ১১৬ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা যেন ফিরে গেলেন পুরোনো দিনে
বিদ্যালয়ের ১১৬ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে এসে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। বহু বছর পর সহপাঠীদের সঙ্গে দেখা হয়ে কেউ কেউ সেলফি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কেউ বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষ ঘুরে ঘুরে দেখছিলেন। আবার অনেকেই দল বেঁধে গান গাইছিলেন।
আজ শনিবার মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌর শহরে অবস্থিত নবীন চন্দ্র সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের ১১৬ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে এসে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা এভাবেই দিনটি কাটান। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯০৯ সালে।
অনুষ্ঠান প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক শিক্ষার্থী বিশিষ্ট শিল্পপতি আজম জে চৌধুরী। অন্যান্যের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মহিউদ্দিন, কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান, উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহ জহুরুল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১৯৫৪ সালে বিদ্যালয়টি থেকে এসএসসি পাস করেছিলেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা আজিজ উল্লাহ। লাঠিতে ভর দিয়ে অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন তিনি। আজিজ উল্লাহ বলেন, ‘সহপাঠী অনেকে বেঁচে নেই। অনেকে দেশের বাইরে বহু দিন ধরে। আজ একাই আসলাম। এক দিকে খুশি লাগলেও সহপাঠীদের কাউকে না পাওয়ায় কষ্টও লাগছে।’ একই কষ্টের কথা বলেন ১৯৬৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী রেজাউর রহমান চৌধুরী।
হাবিবা ইসলামদের ছয় ভাইবোন ২০০০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এ প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করেছেন। ছয়জনই এসেছিলেন। সবাই সহপাঠীদের সঙ্গে আলাদা করে আড্ডায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। হাবিবা বলেন, খুব ভালো লাগছে। সহপাঠীদের সঙ্গে ছবি তুললাম, আড্ডা দিলাম। একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করলাম।
প্রধান অতিথি আজম জে চৌধুরী বলেন, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেলবন্ধন তৈরির উদ্দেশ্যেই এ অনুষ্ঠান। নতুন প্রজন্ম যাতে এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখে এটাই প্রত্যাশা।