সেন্ট মার্টিনে যাওয়ার পথে ডুবোচরে ৫০০ যাত্রী নিয়ে আটকে গেল জাহাজ

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথের নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় ডুবোচরে আটকা পড়ে এমভি বার আউলিয়া নামের পর্যটকবাহী জাহাজটি। শনিবার দুপুরে
ছবি: প্রথম আলো

সাড়ে পাঁচ শতাধিক পর্যটক নিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাওয়ার পথে ডুবোচরে আটকা পড়ে এমভি বার আউলিয়া নামের পর্যটকবাহী একটি জাহাজ।

আজ শনিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথের নাইক্ষ্যংদিয়া নামের এলাকায় জাহাজটি ডুবোচরে আটকে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন পর্যটকেরা।

তবে জাহাজ কর্তৃপক্ষ বলছে, হঠাৎ একটি ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দেওয়ায় নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় কিছুক্ষণ বিরতি নেয় জাহাজটি। এরপর অপর একটি ইঞ্জিনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের দেড় ঘণ্টার পর জাহাজটি সেন্ট মার্টিন জেটিঘাটে পৌঁছায়।

এমভি বার আউলিয়া জাহাজের টেকনাফের ব্যবস্থাপক মাহবুব আলম প্রথম আলোকে বলেন, ইঞ্জিন ত্রুটির কারণে পর্যটকদের নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে সেন্ট মার্টিন পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। ভাটার আগেই এই নৌপথে ডুবোচরগুলো অতিক্রম করতে হবে। তাই বেলা তিনটায় আবার জাহাজটি টেকনাফের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফের ইনচার্জ আমজাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে পৌনে ১০টার মধ্যে টেকনাফের দমদমিয়াঘাট থেকে ৯টি জাহাজ সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এর আগে জাহাজগুলোতে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত পর্যটক তোলা হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করেন কোস্টগার্ডের সদস্যরা।

ট্যুরিস্ট পুলিশের টেকনাফের উপপরিদর্শক মো. সিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সেন্ট মার্টিন জেটিঘাটের পৌঁছানোর কথা ছিল জাহাজটির। ডুবোচরে আটকে যাওয়ায় সেটি বেলা পৌনে দুইটার দিকে সেন্ট মার্টিন জেটিঘাটে পৌঁছায়।

এমভি বার আউলিয়া জাহাজের কয়েকজন পর্যটক বলেন, ধারণাক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী তোলা হয়েছিল জাহাজটিতে। টেকনাফের দমদমিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসার ১ ঘণ্টা ২৫ মিনিট পর জাহাজটি নাফ নদীর মোহনার নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় ডুবোচরে আটকে যায়। প্রায় ৪৫ মিনিট ডুবোচরে আটকে ছিল জাহাজটি। পরে বেলা পৌনে দুইটার দিকে সেন্ট মার্টিন জেটিঘাটে পৌঁছায়। জাহাজ থেকে পর্যটকদের নামতে আরও আধা ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। ওই জাহাজে সেন্ট মার্টিনে যাওয়া অনেক পর্যটকেরই জাহাজটিতে করে বেলা তিনটায় টেকনাফে ফেরার টিকিট করা ছিল। ফলে তাঁরা আর সেন্ট মার্টিনে নামেননি। এটাকে হয়রানিমূলক বলে মনে করছেন এসব পর্যটক।