হেলিকপ্টারে গ্রামের বাড়ি এলেন প্রবাসী, উৎসুক জনতার ভিড়

হেলিকপ্টারে করে প্রবাসীর আসার খবরে উৎসুক জনতার ভিড়। মঙ্গলবার দুপুরে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার পূর্ব রায়েরদিয়া মাঠে
ছবি: সংগ্রহীত

ফ্রান্সপ্রবাসী কৃষ্ণ চন্দ্র বণিক। দুই যুগের বেশি সময় ধরে পরিবার নিয়ে ফ্রান্সে থাকেন। ফ্রান্সের পাসপোর্টধারী কৃষ্ণ চন্দ্রের পৈতৃক ভিটা চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মৈশাদি গ্রামে। আজ মঙ্গলবার তিনি একটি হেলিকপ্টারে পরিবারসহ চাঁদপুরে আসেন। প্রথমবারের মতো এলাকায় হেলিকপ্টার নামায় মৈশাদি গ্রামের বাসিন্দারা ভিড় করেন। উৎসুক জনতাকে সামাল দিতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়।

কৃষ্ণ চন্দ্র বণিকের বাড়ি উপজেলার গজরা ইউনিয়নে। প্রায় ২৫ বছর ধরে তিনি ফ্রান্সে ব্যবসা করছেন। আজ বেলা দুইটায় তাঁদের বহনকারী হেলিকপ্টার মৈশাদি গ্রামে অবতরণ করে। কয়েক দিন পর আবার তিনি ফ্রান্সে ফিরে যাবেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, হেলিকপ্টারে প্রবাসীর পৈতৃক বাড়িতে আসার খবর চাউর হওয়ার পর আজ সকাল থেকেই আশপাশের লোকজন মৈশাদি গ্রামের পাশে পূর্ব রায়েরদিয়া এলাকায় মাঠে উৎসুক জনতা ভিড় করেন। শত শত লোক হেলিকপ্টার দেখতে সেখানে জড়ো হন। ওই প্রবাসীর স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীদের অনেকেও সেখানে উপস্থিত হন। বেলা দুইটায় কৃষ্ণ চন্দ্র বণিককে বহনকারী হেলিকপ্টারটি অবতরণ করে। পরিবারসহ হেলিকপ্টার থেকে নামার পর স্বজন ও গ্রামবাসীর সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করেন তিনি। এ সময় আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। পরে সেখান থেকে হেঁটে তিনি পৈতৃক ভিটায় যান।

প্রবাসী কৃষ্ণ চন্দ্র বণিকের বাল্যবন্ধু মো. আলী হোসেন বলেন, প্রায় ২৫ বছর পর কৃষ্ণ চন্দ্র বাড়ি এলেন। এ জন্য গ্রামে প্রথমবারের মতো হেলিকপ্টার অবতরণ করল। এ জন্য মানুষের মধ্যে উৎসাহ বেশি ছিল। অনেক বছর পর বন্ধুকে দেখতে পেয়ে ভালো লাগছে।

কৃষ্ণ চন্দ্র বণিক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর স্বপ্ন ছিল একদিন পরিবার নিয়ে হেলিকপ্টারে করে গ্রামের বাড়িতে আসবেন। আজ সেই স্বপ্ন পূরণ হলো। দীর্ঘ ২৫ বছর পর পরিবার নিয়ে ফ্রান্স থেকে গ্রামের বাড়িতে আসতে পেরে খুবই আনন্দ লাগছে। ফ্রান্সে তাঁর ব্যবসা আছে। কয়েক দিন থেকে আবার চলে যাবেন।

মতলব উত্তর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সানোয়ার হোসেন বলেন, হেলিকপ্টার আসার খবরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবতরণস্থলে আগেভাগেই পুলিশ পাঠানো হয়। উৎসুক গ্রামবাসীকে সামাল দিতে তাঁদের অনেক কষ্ট হয়েছে।