সংসদ সদস্য আবুল কালামকে আওয়ামী লীগের কারণ দর্শানোর নোটিশ

রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ
ছবি: সংগৃহীত

‘দলীয় শিষ্টাচারবহির্ভূত বক্তব্য’ দেওয়ার অভিযোগে রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদকে দল থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা কেন নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে ১৫ দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত শোকজের চিঠি গতকাল বৃহস্পতিবার পেয়েছেন তিনি।

তবে কোন বক্তব্যের জন্য আবুল কালাম আজাদকে শোকজ করা হয়েছে, তা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়নি। গত ৯ মার্চ ও ১৩ মার্চ দুটি দলীয় অনুষ্ঠানে আবুল কালামের বক্তব্য নিয়ে ফেসবুকে সমালোচনা করেন তাঁর বিরোধী পক্ষ হিসেবে পরিচিত সাবেক সংসদ সদস্য এনামুল হকের অনুসারীরা।

৯ মার্চ রাজশাহী নগরে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী, রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সংসদ সদস্য আবদুল ওয়াদুদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের একাংশ। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিকে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় গালাগাল করেন। ওই বক্তব্যের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার হয়।

এরপর ১৩ মার্চ বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সভায় দেওয়া বক্তব্যে সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদকে বলতে শোনা যায়, ‘অনেক সময় দলীয় গঠনতন্ত্র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকও মানেন না।’ এই বক্তব্য সংসদ সদস্যের বিরোধীরা ফেসবুকে প্রচার করলে তিনি এ বিষয়ে পত্রিকায় বিবৃতি দিয়ে জানান, বক্তব্যের আগে-পেছনের কিছু অংশ বাদ দিয়ে ‘সুপার এডিট’ করে প্রচার করা হয়েছে।

শোকজের চিঠির বিষয়ে বক্তব্যে জানতে সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের মুঠোফোন নম্বরে কল দিলেও তিনি সাড়া দেননি। তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সংসদ সদস্যের একটি বক্তব্য গত নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীর লোকজন বিকৃতভাবে প্রচার করেছেন। তাঁরা নোটিশ পেয়েছেন এর জবাব নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দেওয়া হবে।

রাজশাহী-৪ আসনে গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। একটি পক্ষের নেতৃত্বে বর্তমান সংসদ সদস্য ও অপর পক্ষে গত নির্বাচনে মনোনয়নবঞ্চিত তিনবারের সংসদ এনামুল হক। নির্বাচনের সময়ে উভয় পক্ষের ১২টি মামলা ও নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির কাছে ৯টি অভিযোগ দেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল।