৩৮ দিনের শিশুর মরদেহ উদ্ধার, মা গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

রাজশাহীর মোহনপুরে ৩৮ দিন বয়সের এক কন্যাশিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার বিকেলে শিশুটিকে বাড়ির গরুর খাবারের পাত্রের পানির মধ্যে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে শিশুর মাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মৌগাছী ইউনিয়নের বসন্তকেদার বকপাড়া (মধ্যপাড়া) গ্রামে। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা আলামিন হোসেন বাদী হয়ে গতকাল দিবাগত রাতে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। গ্রেপ্তার নারীর নাম তানিয়া খাতুন (২০)। শিশুটি তাঁদের দ্বিতীয় সন্তান ছিল। প্রথম সন্তান ছেলে।

পুলিশ জানায়, গতকাল বিকেলে শিশুটির বাবা আগেই বাড়ির বাইরে গিয়েছিলেন। তারপর তাঁর মা তানিয়াও প্রতিবেশীকে কুকুরে কামড় দিয়েছে বলে দেখতে যান। এ সময় তানিয়ার জা রোজিনা খাতুন তাঁদের বাড়িতে এসে দেখেন, শিশুটি গরুর খাবারের পাত্রের পানির মধ্যে পড়ে মরে রয়েছে। তিনি চিৎকার করলে সবাই ছুটে আসেন।

শিশুটির বাবা জানান, বাড়িতে স্ত্রী ও শিশুকন্যা ছাড়া আর কেউ ছিল না। খবর পেয়ে তিনি তাৎক্ষণিক বাড়িতে এসে দেখেন মেয়ে মারা গেছে। পরে স্ত্রী তাঁকে জানান, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শোবারঘরে শিশুটিকে ঘুমে রেখে ওয়াশরুমে যান। ওয়াশরুম থেকে শুনতে পান পাশের বাড়িতে কাকে যেন কুকুর কামড় দিয়েছে। ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে তিনি সেখানে যান। এরপর রোজিনার চিৎকারে দ্রুত বাড়িতে ছুটে আসেন এবং দেখেন মেয়ে মারা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী রোজিনা খাতুন বলেন, পাশের বাড়িতে বিয়ে হচ্ছে। বিয়েবাড়িতে যাওয়ার জন্য তানিয়াকে ডাকতে এসে দেখেন গরুর খাবার পাত্রের পানির মধ্যে শিশুর মরদেহ ভাসছে। তারপর তিনি চিৎকার করে সবাইকে ডাকেন।

মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহা. সেলিম বাদশাহ বলেন, ওই নারীর চিৎকারে আশপাশের সবাই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। শিশুটির মা–ও আসেন। কিন্তু তিনি শিশুর মরদেহ দেখে প্রথমে কান্নাকাটি করেননি। এতে সন্দেহ হয়। রাতে তাঁকে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে তিনি স্বীকার করেন, মাথায় জিন চাপলে কী হয়, তিনি আর মনে করতে পারেন না।

ওসি আরও বলেন, শিশুটির বাবা যে মামলাটি করেছেন, তাতে তানিয়া খাতুনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য তাঁকে আদালতে নিয়ে যাওয়া প্রস্তুতি চলছে।