কিশোরীকে বখাটের ছুরিকাঘাত, বাঁচাতে গিয়ে দাদি-ভাবি নিহত

বগুড়ায় দুজনকে খুন করা হয়েছে। বাড়িতে স্বজনদের আহাজারী। গতকাল বুধবার রাতেছবি: প্রথম আলো

বগুড়ায় প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না পেয়ে এক স্কুলছাত্রীকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে সৈকত হোসেন (১৯) নামের এক তরুণের বিরুদ্ধে। এ সময় ছুরিকাঘাতে ছাত্রীর দাদি ও ভাবি ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে বগুড়া শহরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামপুর হরিগাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন ওই এলাকার মৃত আবদুল কুদ্দুসের স্ত্রী লাইলী বেগম (৬৫) ও নাতি পারভেজ হোসেনের স্ত্রী হাবিবা ইয়াসমিন (২১)। আহত ব্যক্তি শহরের একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত সৈকতকে আটক করে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, সৈকত দীর্ঘদিন ধরে ওই কিশোরীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। গতকাল রাতে তিনি ওই কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে তাকে ছুরিকাঘাত করেন। এ সময় কিশোরীকে রক্ষা করতে এলে তার দাদি ও ভাবিকে ছুরি মেরে পালিয়ে যান সৈকত।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাসির বলেন, অভিযুক্ত সৈকতকে আটক করা হয়েছে। স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক লাইলী বেগম ও হাবিবা ইয়াসমিনকে মৃত ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন

হাসপাতালের উপপরিচালক আবদুল ওয়াদুদ বলেন, নিহত দুজনের শরীরে ধারালো অস্ত্রের একাধিক জখমের চিহ্ন ছিল। কিশোরীর অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।