একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দিলেন নাটোরের গৃহবধূ

নাটোরে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এক নারী একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। সোমবার সকালে শহরের আল মদিনা হাসপাতালে
ছবি: সংগৃহীত

নাটোরে সুমি খাতুন নামের এক গৃহবধূ একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তিনটিই মেয়েশিশু। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় নাটোর শহরের আল মদিনা হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এই তিন নবজাতকের জন্ম হয়। তিন নবজাতক সুস্থ আছে; তাদের মা এখনো দুর্বল বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।

সুমি খাতুন নাটোরের সিংড়া উপজেলার পেট্রোবাংলা মহল্লার আরিফুল ইসলামের স্ত্রী। এই দম্পতির পাঁচ বছর বয়সী আরেকটি মেয়ে আছে। ইতিমধ্যে নবজাতকদের নামও রেখেছেন মা–বাবা। তাদের নাম রাখা হয়েছে আরিফা খাতুন, ফাতেমা খাতুন ও আছিয়া খাতুন।

আল মদিনা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার সুমি খাতুন সন্তান প্রসবের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হন। স্বাভাবিকভাবে সন্তান জন্ম না নেওয়ায় গতকাল সন্ধ্যায় চিকিৎসক কাওছার আহম্মেদ তাঁর সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করেন। অস্ত্রোপচারের আগে সুমি খাতুনের চারবার আলট্রাসনোগ্রাম করা হয়। চারবারই যমজ সন্তানের অস্তিত্ব বোঝা যায়। কিন্তু অস্ত্রোপচারের পর দেখা যায়, তাঁর গর্ভে তিনটি শিশু। জন্মের পর হাসপাতালে রেখেই মা ও মেয়েদের চিকিৎসা চলছে।

অস্ত্রোপচারের আগে আলট্রাসনোগ্রামে যমজ সন্তানের অস্তিত্ব বোঝা যায়। কিন্তু অস্ত্রোপচারের পর দেখা যায়, গর্ভে তিনটি শিশু।

মেয়েদের বাবা আরিফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তিনি বেসরকারি একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। চাকরি না থাকায় এখন বাড়িতেই থাকেন। চিকিৎসক বলেছিলেন, তাঁর স্ত্রীর গর্ভে যমজ সন্তান রয়েছে। কিন্তু তিনটি সন্তান রয়েছে, তা বলা হয়নি। তবে একসঙ্গে তিন মেয়ে হওয়ায় তাঁরা খুশি হয়েছেন। কষ্ট হলেও একসঙ্গে তাঁরা মেয়েদের মানুষ করবেন। বড় মেয়েও তিন বোনকে পেয়ে খুবই খুশি।

আরিফুল বলেন, মেয়েদের হয়তো আশানুরূপ খাওয়া-পরা দিতে পারবেন না। তবে তাদের প্রতি আন্তরিকতার ঘাটতি থাকবে না। সবার কাছে চার মেয়ের জন্য দোয়া চান তিনি।

চিকিৎসক কাওছার আহম্মেদ বলেন, একসঙ্গে জন্ম নেওয়া তিন শিশুই স্বাভাবিক ও সুস্থ আছে। তাদের মা এখনো দুর্বল। তাঁর চিকিৎসা চলছে। কয়েক দিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে। এ মুহূর্তে নবজাতক ও মায়ের ভালো খাবার ও পরিচর্যা দরকার বলে জানান তিনি।