মিয়ানমার ফিরে গেলেন ১২৩ বিজিপি ও সেনাসদস্য

বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের ১২৩ জন সেনা ও বিজিপি সদস্য জাহাজে করে ফিরে গেছেন নিজ দেশে। আজ সকালে, কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর বিআইডব্লিউটিএ জেটি ঘাটছবি-প্রথম আলো

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের চলমান সংঘাতের জেরে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া ১২৩ বর্ডার গার্ড পুলিশ ও সেনাসদস্যকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছটার বিআইডব্লিউটিএর জেটিঘাট দিয়ে দেশটির নৌবাহিনীর জাহাজে করে তাঁদের মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিথুয়ে বন্দরে পাঠানো হয়। ১২৩ জনের মধ্যে ১৫ জন সেনাসদস্য রয়েছেন।

এর আগে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ দেশটির বিভিন্ন কারাগারে সাজার মেয়াদ শেষ হওয়া ৮৫ জন বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করে। সিথুয়ে বন্দর থেকে ৮৫ জনকে মিয়ানমার নৌবাহিনীর জাহাজ ‘ইউএমএস চিন ডুইনে’ কক্সবাজারে আনা হয়। পুরো প্রক্রিয়াটি বাংলাদেশের পক্ষে পর্যবেক্ষণ করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. রাহাত বিন কুতুব। উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ ও বিজিবি কর্মকর্তারা।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, চতুর্থ দফার আজ রোববার ১২৩ জন মিয়ানমারের সেনা ও বিজিপি সদস্যকে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে তিন দফায় আরও ৭৫২ জন সেনা ও বিজিপি সদস্যকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।

বিজিবি কক্সবাজার রিজিয়ন সদর দপ্তরের পরিচালক (অপারেশন) লে. কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, গত ১১ জুন থেকে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর ১২৪ জন সদস্য টেকনাফ সীমান্তের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে আশ্রয় প্রার্থনা করেন। আশ্রয়গ্রহণকারী সদস্যদের একজন গত ৩ আগস্ট চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। আজ রোববার বাকি ১২৩ জন মিয়ানমার ফিরে গেছেন।

পুলিশ ও জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারিতে রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে দেশটি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। ইতিমধ্যে আরাকান আর্মি দেশটির সীমান্তরক্ষী বিজিপির ২৫টির বেশি সীমান্তচৌকি এবং একাধিক সেনা ব্যারাক দখলে নিয়েছে।