আজমেরী ওসমানের গাড়িচালক জামশেদ ৫ দিনের রিমান্ডে

মো. জামশেদ (মাঝে)ছবি: র‌্যাবের সৌজন্যে

নারায়ণগঞ্জের মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা মামলায় আজমেরী ওসমানের গাড়িচালক মো. জামশেদকে (৩৭) পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে র‌্যাব-১১। আজ বুধবার জামশেদকে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাওসার হোসেনের আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করলে তাঁর বিরুদ্ধে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এর আগে আজ ভোরে রাজধানীর মিরপুর এলাকার বাসা থেকে জামশেদকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১১। তিনি আজমেরী ওসমানের গাড়িচালক ও ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী জিয়াউল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে জামশেদকে আদালতে হাজির করা হলে শুনানি শেষে আদালত ওই পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আজমেরী ওসমানের নানা অপকর্মের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন জামশেদ। তাঁর গাড়িতে করেই ত্বকীকে অপহরণ ও হত্যার পর মরদেহ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ত্বকী হত্যাকাণ্ডের গুরুত্বপূর্ণ আরও অনেক তথ্য পাওয়া যাবে।

নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক আবদুর রশিদ বলেন, এর আগে ত্বকী হত্যা মামলায় শাফায়েত হোসেন, মামুন মিয়া ও কাজল হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরে তাঁদের তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পৃথক দুটি আদালত ছয় দিনের করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৬ মার্চ নগরের শায়েস্তা খাঁ রোডের বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয় তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী। দুই দিন পর ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী খাল থেকে ত্বকীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই বছরের ১২ নভেম্বর আজমেরী ওসমানের সহযোগী সুলতান শওকত ভ্রমর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানায়, আজমেরী ওসমানের নেতৃত্বে ত্বকীকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়। ৫ মার্চ ২০১৪ তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাব সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, নারায়ণগঞ্জের ওসমান পরিবারের নির্দেশে তাঁদেরই টর্চারসেলে ১১ জন মিলে ত্বকীকে হত্যা করেছেন। অচিরেই তাঁরা অভিযোগপত্র আদালতে পেশ করবে। কিন্তু সে অভিযোগপত্র আজও আদালতে পেশ করা হয়নি। ত্বকী হত্যার দ্রুত অভিযোগপত্র দাখিল ও আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে প্রতি মাসের ৮ তারিখে সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চ ধারাবাহিকভাবে মোমশিখা প্রজ্জ্বালন কর্মসূচি পালন করে আসছে।