নির্যাতনে অসুস্থ শিশুর মৃত্যু, সৎবাবা আটক

শিশু নির্যাতন
প্রতীকী ছবি

শরীয়তপুরে সৎবাবার নির্যাতনে আড়াই বছরের একটি শিশু মারা গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার বিকেলে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেয়েশিশুটির মৃত্যু হয়। শিশুটির মায়ের অভিযোগের পর পুলিশ ওই ব্যক্তিকে আটক করেছে।

আটক মঞ্জুর আলম শরীয়তপুরে নলকূপ স্থাপনের শ্রমিকের কাজ করেন। তাঁর বাড়ি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায়। স্ত্রী রুনা আক্তারকে নিয়ে তিনি শরীয়তপুর সদর উপজেলার ডোমসার এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। চার মাস আগে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল।

রুনা আক্তার জানান, তিনি ঢাকায় মধ্য বাড্ডা এলাকায় থাকতেন। সেখানে মঞ্জুরের সঙ্গে পরিচয়। চার মাস আগে তাঁদের বিয়ে হয়। আগের পক্ষের মেয়ে রাবেয়াকে নিয়ে দুই সপ্তাহ আগে শরীয়তপুরে আসেন। এখানে আসার পর থেকেই মঞ্জুর তাঁর মেয়েকে মারধর করতেন। কয়েক দিন আগে রাবেয়াকে মারধর করে বেঁধে রেখেছিলেন। গতকাল সকালে মঞ্জুর আবার রাবেয়াকে মারধর করেন। সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে রাবেয়া মারা যায়।
খবর পেয়ে পালং মডেল থানার পুলিশ হাসপাতালে যায়। রুনা আক্তারের অভিযোগের ভিত্তিতে সন্ধ্যায় পুলিশ মঞ্জুরকে আটক করে।

পালং মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ মোশারফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, হাসপাতালে ভর্তির পর এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ওই শিশুর শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার মা অভিযোগ করেছেন, তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী শিশুটিকে মারধর করতেন। শিশুটির সৎবাবাকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলছে।