বগুড়ায় মাদ্রাসার সীমানাপ্রাচীর ধসে নৈশপ্রহরী নিহত, আহত ৩

লাশ
প্রতীকী ছবি

বগুড়া শহরের একটি মাদ্রাসার সীমানাপ্রাচীর ধসে আয়নুল হক (৫৫) নামের একজন নৈশপ্রহরী নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে শহরের চকফরিদ এলাকায় আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া কাছেমুল উলুম মাদ্রাসায় (জামিল মাদ্রাসা) এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী-অভিভাবকসহ তিনজন আহত হয়েছেন।

নিহত আয়নুল হক সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চরনান্দিনা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মাদ্রাসার নৈশপ্রহরী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা হতাহতদের উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

আহত ব্যক্তিরা হলেন সদর উপজেলার মাটিডালী এলাকার বাসিন্দা মোছা. মুক্তা (৩৫), মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সদরের চন্ডিহারা এলাকার মো. হামিম (১২) ও কাহালু উপজেলার মো. মেফতাজুল (৬)।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শহরের চকফরিদ এলাকায় আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া কাছেমুল উলুম মাদ্রাসার দক্ষিণ-পশ্চিম পাশের সীমানাপ্রাচীর কয়েক মাস ধরে হেলে ছিল। সীমানাপ্রাচীরের পাশে মাদ্রাসার রান্নাঘর। সেখানে ছোট গেট (পকেট গেট) দিয়ে মাদ্রাসার নারী অভিভাবকেরা সন্তানদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। শিক্ষার্থীদের জন্য দুপুরে রান্নার কাজ চলছিল। তখন প্রহরী আয়নুল হক ওই গেটে দায়িত্ব পালন করছিলেন। হঠাৎ বিকট শব্দে হেলে পড়া প্রাচীর ধসে পড়ে। এতে নৈশপ্রহরী আয়নুল হক নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহত হয় দুই শিক্ষার্থী ও সন্তানের সঙ্গে দেখা করতে আসা একজন মা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক নৈশপ্রহরী আয়নুলকে মৃত ঘোষণা করেন।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সরাফত ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, জামিল মাদ্রাসার দেয়াল ধসে একজন নৈশপ্রহরী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কারও কোনো গাফিলতি ছিল কি না, সেটা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।