পাহাড়ধসে বন্ধ সাজেক সড়ক, পর্যটকবাহী গাড়িসহ আটকা বহু যান

সড়কের মাটি সরানোর কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস। আজ সকালে রাঙামাটিতে বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নেছবি: স্থানীয় এক বাসিন্দার থেকে পাওয়া

রাঙামাটিতে বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের বাঘাইহাট-সাজেক সড়কে নন্দরাম এলাকায় পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে সড়কটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়েছে। এ কারণে আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে সাজেকে যাতায়াতকারী সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ আছে। সড়কের দুই পাশে আটকা পড়েছে বহু যান। এগুলোর মধ্যে পর্যটকবাহী গাড়িও আছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল রাতভর ভারী বৃষ্টির কারণে ওই পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। টানা বৃষ্টির কারণে গতকাল রাতেই ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরে বৃষ্টি কমলে ভোরে যান চলাচল শুরু হয়। তখনই স্থানীয় বাসিন্দারা বাঘাইহাট-সাজেক সড়কে পাহাড়ধস দেখতে পান।

স্থানীয় বাসিন্দা সুজিত চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে কখন পাহাড়ধস হয়েছে, তাঁরা কেউ বুঝতে পারিনি। সকালে যানবাহন চলাচল শুরু হলে বিষয়টি নজরে আসে।’

পাহাড়ধসের ঘটনা জানাজানির হওয়ার পর সাজেক থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তবে এক্সকাভেটর (খননযন্ত্র) না থাকায় মাটি সরানো সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

রাঙামটি ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বলেন, তাঁদের মাটি সরানোর কোনো সরঞ্জাম নেই। তাই মাটি সরানো যাচ্ছে না।

সড়কের মাটি সরানোর কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস। আজ সকালে রাঙামাটিতে বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নে
ছবি: স্থানীয় এক বাসিন্দার থেকে পাওয়া

সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, সড়কে যে পরিমাণ মাটি এসে পড়েছে, তা হাত দিয়ে সরানো সম্ভব নয়। এক্সকাভেটর ছাড়া কিছু করা যাবে না। সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা কখন এসে উদ্ধারকাজ শুরু করবে, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। যদি দেরি হয়, তাহলে আজ সারা দিনই সাজেক সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকবে।

সাজেক ভ্যালি দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা ও বেলা ৩টা পর্যন্ত বাঘাইহাট থেকে সাজেকের রুইলুই ভ্যালির উদ্দেশে পর্যটকবাহী গাড়ি চলাচল করে। একই সময় সাজেক থেকেও গাড়িগুলো বাঘাইহাটের দিকে ফিরে আসে। তবে সড়ক বন্ধ থাকায় আজ এসব যান চলাচল অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। এতে নতুন করে সাজেকে পর্যটক যাতায়াত বন্ধ আছে। পাশাপাশি যাঁরা আগে থেকেই সাজেকে অবস্থান করছেন, তাঁদের ফিরে আসাও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ণ দেববর্মন প্রথম আলোকে বলেন, সাজেক ভ্যালিতে অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল, ৭০ থেকে ৮০টি পর্যটকবাহী গাড়ি আছে। এসব গাড়ি আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাজেক থেকে চলে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু পাহাড়ধসের কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না।