খেলতে গিয়ে দগ্ধ শিশুটি হাসপাতালে মারা গেল

চট্টগ্রাম জেলা মানচিত্র

কর্ণফুলী নদী থেকে তোলা বালু উঁচু স্তূপ করে রাখা হয়েছে। এসব বালুর স্তূপে উঠে খেলা করে এলাকার শিশুরা। গত বৃহস্পতিবার মামার বাড়িতে বেড়াতে আসা ১৩ বছর বয়সী মাহিয়াও খেলছিল বালুর স্তূপে।

হঠাৎ বিদ্যুতের তারের স্পর্শে দগ্ধ হয় সে। গতকাল সোমবার রাত একটার দিকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার শরীরের ৬০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার গুনগুনীয়ার বালুর চর এলাকায় মাহিয়া দগ্ধ হয়। সে উপজেলার মরিয়মনগর ইউনিয়নের পূর্ব সৈয়দবাড়ি এলাকার মো. আলমগীরের মেয়ে। সে স্থানীয় নুরুল উলুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত। তার মৃত্যুতে পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

বেতাগী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ও মাহিয়ার মামা নাজমুল হক বলেন, গত বৃহস্পতিবার সকালে বেতাগী ইউনিয়নের গুনগুনীয়া গ্রামে মামার বাড়িতে বেড়াতে যায় মাহিয়া। বিকেলের দিকে বাড়ির কাছে বালুর চরে কয়েক শিশুর সঙ্গে খেলছিল সে। হঠাৎ বিদ্যুতের তারে লেগে গুরুতর আহত হয় মাহিয়া। খবর পেয়ে স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।

অবস্থা গুরুতর হওয়ায় রাত ৯টার দিকে তাকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। সেখানে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। দাফনের জন্য আজ মঙ্গলবার তার লাশ নিজ গ্রামে আনা হচ্ছে।

নাজমুল হকের অভিযোগ, কর্ণফুলী নদী থেকে তোলা বালু বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের কাছাকাছি উঁচু স্তূপ করে রাখা হয়েছে। অপরিকল্পিতভাবে বালু রাখার কারণে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহত হয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।