নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ

মানিকগঞ্জ-২ আসনে নৌকার সমর্থকদের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর তিন সমর্থক আহত হন। তাঁদের মধ্যে একজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছেছবি: সংগৃহীত

মানিকগঞ্জ-২ (হরিরামপুর-সিঙ্গাইর-সদর একাংশ) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী মমতাজ বেগমের অনুসারীদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদ আহম্মেদ ওরফে টুলুর সমর্থকদের ওপর হামলার উঠেছে। আজ রোববার বিকেলে হরিরামপুর উপজেলা সদরে এ ঘটনা ঘটে। তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেছেন নৌকার সমর্থকেরা।

হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর তিনজন সমর্থক আহত হয়েছেন। তাঁরা হলেন হৃদয় আহমেদ, অভি সূত্রধর ও মিঠুন সরকার। তাঁদের মধ্যে হৃদয়কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ-২ আসনে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মমতাজ বেগমের সমর্থক ও আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদ আহম্মেদের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। আজ বিকেল চারটার দিকে হরিরামপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে বসে কথা বলছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক হৃদয় আহমেদ, অভি সূত্রধর, মিঠুন সরকারসহ কয়েকজন। তখন জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক আবিদ হাসান ও হরিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লুৎফর রহমানের নেতৃত্বে নৌকার কর্মী-সমর্থকেরা তাঁদের ওপর হামলা করেন। এ ঘটনার পর সন্ধ্যায় দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা উপজেলা চত্বরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

মানিকগঞ্জ-২ আসনে হামলার ঘটনার পর সন্ধ্যায় দুই পক্ষ উপজেলা সদরে অবস্থান নেয়
ছবি: সংগৃহীত

স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মমতাজ বেগমের লোকজন অতর্কিত তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা করেন। এতে তাঁদের তিনজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তাঁরা থানায় মামলা করবেন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মমতাজ বেগমের সমর্থক আওয়ামী লীগের নেতা আবিদ হাসান বলেন, উপজেলা সদরে একটি রেস্তোরাঁয় বসে খাবার খাচ্ছিলেন তিনি। তখন উপজেলা চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমানের ছেলে নবীনুর দেওয়ানের নেতৃত্বে পাঁচ-ছয়জন তাঁকে পিস্তল দেখিয়ে হত্যার হুমকি দেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল করেছেন। হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি।

হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ নূর-এ আলম বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে।