নরসিংদী সরকারি কলেজের পুকুরে ভাসছিল কিশোরের লাশ

পুকুরে ভাসছিল কিশোরের লাশ। তা দেখতে উৎসুক মানুষের ভিড়। রোববার সকালে নরসিংদী সরকারি কলেজের পুকুর ঘাটে
ছবি: প্রথম আলো

নরসিংদী সরকারি কলেজের পুকুরে ভাসছিল এক কিশোরের লাশ। আজ রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে পরিবারের সদস্যরা পুকুরপাড়ে গিয়ে লাশটি শনাক্ত করেন।

লাশ উদ্ধার হওয়ার কিশোরের নাম ফাইজুল ইসলাম মোল্লা (১৭)। সে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার পুটিয়া ইউনিয়নের ভরতেরকান্দি এলাকার হোসেন মোল্লার ছেলে।

হোসেন মোল্লা বলেন, গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে এক জোড়া জুতা কেনার আবদার করেছিল ফাইজুল। এখন না পরে বলার পর সে বাড়ি থেকে কাউকে কিছু না বলে বের হয়ে যায়। অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। আজ সকালে কলেজের পুকুরে ছেলের লাশ ভেসে ওঠে। তিনি আরও বলেন, তাঁর ছেলে মৃগী রোগী ছিল। বিভিন্ন সময় সে বাড়ি থেকে ওই পুকুরে গোসল করতে আসত। হয়তো মৃগী রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর পুকুর থেকে আর উঠে আসতে পারেনি। এটি দুর্ঘটনা ছাড়া আর কিছু নয়। তাই লাশের কাটাছেঁড়া ছাড়াই তাঁরা দাফন করতে চান।

কলেজটির শিক্ষক-কর্মচারীরা জানান, আজ সকালে কলেজ ক্যাম্পাসে হাঁটাহাঁটি করার সময় পুকুরে লাশ ভেসে থাকতে দেখেন এক ব্যক্তি। কলেজের অধ্যক্ষকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি ঘটনাস্থলে চলে আসেন এবং পুলিশকে খবর দেন। সকাল ৯টার দিকে নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া ও পরিদর্শক (তদন্ত) হারুনুর রশিদও ঘটনাস্থলে চলে আসেন। পরে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

প্রতিদিনই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পুকুরটিতে বিভিন্ন বয়সী লোকজন গোসল করতে নামেন বলে জানান নরসিংদী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোশতাক আহমেদ ভূঁইয়া। তাঁর ধারণা, গতকাল কোনো একসময় ওই কিশোর গোসল করতে পুকুরে নেমে আর উঠে আসতে পারেনি।

নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, কিশোরের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন না থাকায় এটি দুর্ঘটনা বলেই মনে হচ্ছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।