সরকারকে লাল কার্ড দেখাবেন নারীরা

খুলনায় মহিলা দলের কর্মিসভায় বক্তব্য দিচ্ছেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম। মঙ্গলবার বিকেল নগরের কেডি ঘোষ রোডে দলীয় কার্যালয়ে
ছবি: প্রথম আলো

আওয়ামী শাসনের ১৪ বছরে দেশে নারী নির্যাতন, লাঞ্ছনা ও ধর্ষণের নজিরবিহীন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। সরকারের লুটেরা অর্থনীতি মূল্যস্ফীতিকে এমন জায়গায় নিয়ে গেছে যে পরিবারের সদস্যদের মুখে তিন বেলা খাবার তুলে দিতে হিমশিম খাচ্ছেন নারীরা। বর্তমান ব্যর্থ সরকারকে হঠাতে ১০ ডিসেম্বর খুলনা থেকে সর্বোচ্চসংখ্যক নারী ঢাকায় মহাসমাবেশে যোগ দিয়ে শেখ হাসিনাকে লাল কার্ড দেখাবেন। এ জন্য মহিলা দলের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।

আজ মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটায় জাতীয়তাবাদী মহিলা দল খুলনা জেলা শাখার কর্মিসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম এসব কথা বলেন। নগরের কে ডি ঘোষ রোডে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা মহিলা দলের সভাপতি তছলিমা খাতুন।

কর্মিসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান, সদস্যসচিব মনিরুল হাসান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আবু হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুল আলম খান, এনামুল হক ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান। জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শাহানাজ ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক সেতারা সুলতানা।

সভায় শফিকুল আলম বলেন, ‘সরকারের মন্ত্রী-এমপি ও নেতারা দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করে সেখানে বেগমপাড়া গড়ছে। আর আমাদের দেশের কোটি কোটি নারী চরম অর্থসংকটে পরিবার-পরিজনের ভবিষ্যৎ চিন্তায় নির্ঘুম রাত পার করছে। নারীরা কোলের সন্তান বিক্রি করছে, অবুঝ শিশুর মুখে বিষ তুলে দিয়ে নিজেরা গলায় দড়ি দিচ্ছে।’ সরকারের পতন ছাড়া মানুষের মুক্তি নেই দাবি করে তিনি চলমান আন্দোলনে নারীদের সম্পৃক্ত ও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান।

কর্মিসভায় অন্যান্যের মধ্যে মহিলা দলের নেত্রী নাসিমা আক্তার, সুজানা জলি, মুন্নি বেগম, মাহমুদা লাকি, রিনা পারভীন, পারুল বেগম, কৌশল্যা রায়, লক্ষ্মী গোলদার, ফারহানা ইয়াসমীন, তাহেরা নাজমা, সাবিনা ইয়াসমীন, জান্নাতুল ফেরদৌস, কানিজ ফাতেমা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কর্মিসভা থেকে প্রতিটি থানায় মহিলা দলের কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। সভার শুরুতে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নিহত সবার রুহের মাগফিরাত কামনা, আহত ও অসুস্থ ব্যক্তিদের সুস্থতা চেয়ে বিশেষ দোয়া মোনাজাত করা হয়।