বাকৃবি ক্যাম্পাসে অটোরিকশাচালকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাসে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) আবাসিক এলাকা-সংলগ্ন সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগীর ভাষ্যমতে, ওই অটোরিকশাচালকের বয়স ২০ থেকে ২৫ বছর। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ঘটনাটি জেনে সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে ওই অটোরিকশার নম্বর সংগ্রহ করেছেন। তাঁকে ধরতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী প্রথম আলোকে বলেন, দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল পশুপুষ্টি মাঠ গবেষণাগারে তাঁদের ক্লাস ছিল। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ক্লাস শেষ করে তিনি বিনার আবাসিক এলাকা-সংলগ্ন সড়ক দিয়ে হলে ফিরছিলেন। তখন পেছন থেকে ২০-২৫ বছর বয়সী সিএনজিচালিত অটোরিকশার এক চালক তাঁর শরীরে হাত দেন। সঙ্গে সঙ্গে ভয় পেয়ে তিনি চিৎকার দেন। তখন কিছুটা সামনে তাঁর দুই বান্ধবী ছিলেন। তাঁরাও ভয় পেয়ে যান। একপর্যায়ে তাঁরা দৌড়াতে শুরু করেন। কিছুক্ষণ পর পেছনে ফিরে দেখেন, চালক সিএনজি ঘুরিয়ে চলে যাচ্ছেন।

ভুক্তভোগী বলেন, ‘ঘটনার পর আমি মানসিকভাবে ভীত হয়ে পড়লে আমাকে হলে নিয়ে আসে আমার বান্ধবীরা। আমার বান্ধবীদের মাধ্যমে বিষয়টি ক্লাসের অন্যরা জানতে পারলে অটোরিকশাটি ট্র্যাক করতে প্রক্টর অফিসে যোগাযোগ করে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটছে। অনেক ঘটনা লজ্জায় প্রকাশিত হয় না। ওই সড়ক অন্যান্য জায়গার তুলনায় সুনসান ও ফাঁকা। ওই দিক দিয়েই তাঁদের ক্লাসে যেতে হয়। সড়কের নিরাপত্তায় কোনো কর্মীও নেই। প্রশাসনের কাছে শিক্ষার্থীদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানান তাঁরা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. আজহারুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সিএনজিটির নম্বর সংগ্রহ করেছি। সংশ্লিষ্ট সব নিরাপত্তা বিভাগকেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন সিএনজিটি ট্র্যাক করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তাকর্মীর সংকট আছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য কর্মীর সংখ্যা বাড়ানো জরুরি।’