খুলনায় চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে সব হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টার কর্মবিরতি ঘোষণা

আজ দুপুরে খুলনা বিএমএ কার্যালয়ে সাংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়
ছবি: প্রথম আলো

খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান শেখ নিশাত আবদুল্লাহর ওপর হামলার প্রতিবাদে খুলনার সব হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। আজ মঙ্গলবারের মধ্যে ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা না হলে আগামীকাল বুধবার সকাল ছয়টায় কর্মবিরতি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।

আজ দুপুরে খুলনা বিএমএ কার্যালয়ে সাংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। কর্মবিরতির আওতায় খুলনা জেলার সব স্বাস্থ্যপ্রতিষ্ঠান (সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি) থাকবে। তবে মানবিক কারণে হাসপাতালগুলোর জরুরি বিভাগ খোলা থাকবে। এ ছাড়া আগামীকাল সকাল ১০টায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগ চত্বরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন চিকিৎসক নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিএমএ খুলনার সভাপতি শেখ বাহারুল আলম। তিনি বলেন, হামলাকারীদের ১২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করা না হলে খুলনা জেলার সব স্বাস্থ্যপ্রতিষ্ঠানের চিকিৎসকেরা ২৪ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করবেন। ২৫ ফেব্রুয়ারি খুলনা মহানগরের শেখপাড়ায় অবস্থিত হক নার্সিং হোমে অস্ত্রোপচার চলা অবস্থায় চিকিৎসক শেখ নিশাত আবদুল্লাহকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন রোগীর স্বজনেরা। এ সময় অপারেশন থিয়েটারও ভাঙচুর করা হয়। এমন ঘটনার জন্য খুলনা বিএমএর পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানিয়ে ওই ঘটনার বিচার দাবি করেন তিনি।

বাহারুল আলম বলেন, চিকিৎসক শেখ নিশাত আবদুল্লাহ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কেবিনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর আগেও স্বাস্থ্যপ্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সবার কাছে বারবার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু কখনোই এই আবেদনের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে বিএমএ নেতারা বলেন, চিকিৎসকেরা রাষ্ট্রের সীমিত ব্যবস্থাপনায় বহুসংখ্যক জনগণের মৌলিক অধিকার পূরণে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। কিন্তু নিজেকে অরক্ষিত ও অনিরাপদ রেখে চিকিৎসকেরা আর কর্মস্থলে যেতে চান না। চিকিৎসক শেখ নিশাত আবদুল্লাহর মতো একজন সৎ, নিষ্ঠাবান ও পরোপকারী সহকারী অধ্যাপক এবং একটি বিভাগের প্রধানের ওপর এ ধরনের অত্যাচারের দৃশ্য দেখে চিকিৎসক সমাজ ব্যাপকভাবে সংক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন বিএমএ খুলনার সাধারণ সম্পাদক মেহেদী নেওয়াজ ও যুগ্ম সম্পাদক নেওয়াজ মোস্তাফি চৌধুরী।