মানিকগঞ্জে পরিবারের সবাইকে অচেতন করে লুট, ছয়জন হাসপাতালে

পরিবারের অচেতন ব্যক্তিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে মানিকগঞ্জ কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
ছবি: প্রথম আলো

মানিকগঞ্জে একটি পরিবারের সবাইকে অচেতন করে লুটের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় সদর উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের চর বালিরটেক গ্রামে আবদুল মান্নানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের ধারণা, পরিবারটির সদস্যদের খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক কিছু মিশিয়ে অচেতন করে ডাকাতি করেছে দুর্বৃত্তরা।

চেতনানাশকে অসুস্থ হয়ে পড়া পরিবারটির ছয়জনকে গতকাল মঙ্গলবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁরা হলেন আবদুল মান্নান (৬৫), তাঁর স্ত্রী নাছিমা বেগম (৫৫), তাঁদের মেয়ে আসমা বেগম (৩২), সায়মা আক্তার (২৫), তানজুমা আক্তার (১৮) ও নাতি সোহান (৩)। এ ছাড়া বাড়িটি থেকে নগদ টাকাসহ স্বর্ণালংকার ও মুঠোফোন লুট করা হয়েছে।

সদর থানা-পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র এবং ওই পরিবারের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার রাতের খাবার খেয়ে সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। গতকাল সকাল নয়টার দিকে নাছিমা বেগম জেগে ওঠেন ও কিছুটা স্বাভাবিক হন। এ সময় তিনি অন্যদের ঘুম থেকে জাগানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরিবারের নারী সদস্যদের কারও কানে-গলায় স্বর্ণালংকার দেখতে না পেয়ে চিৎকার দেন নাছিমা। প্রতিবেশীরা এসে পুলিশে খবর দেন এবং তাঁদের উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

আবদুল মান্নানের স্ত্রী নাছিমা বেগম চিকিৎসাধীন অবস্থায় বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ির আশপাশে অপরিচিত কয়েকজনকে ঘুরতে দেখতে পান। এরপর রাতের খাবার খেয়ে সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। গতকাল সকালে ঘুম থেকে জেগে উঠে দেখেন, ঘরের জিনিসপত্র এলোমেলো হয়ে রয়েছে। তাঁর ও দুই মেয়ের কানে-গলায় থাকা সাড়ে ৩ ভরি স্বর্ণালংকার, ঘরে থাকা ৩০ হাজার টাকা ও ৫টি মুঠোফোন সেট দুর্বৃত্তরা নিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাবিল হোসেন বলেন, এ ঘটনা জানার পরপরই তিনি ঘটনাস্থল ওই বাড়িতে যান। খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক খাওয়ানোর কারণে পরিবারটির সবাই অচেতন হয়ে পড়েন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।