ফরিদপুরে মেলা বন্ধ করা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আটক ৬

দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে বাড়িঘরে হামলার ঘটনা ঘটে। রোববার সকালে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার মাঝারদিয়া গ্রামেছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুরের সালথার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের খলিশপট্টি গ্রামে মদন হাজীর ওরসের মেলা বন্ধ করা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার সকালে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সালথা থানায় দুটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। ইতিমধ্যে একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে থানায়।

সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন। পরে সালথা থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এলাকাবাসী বলেন, মাঝারদিয়ার খলিশপট্টি গ্রামে মদন হাজী বাড়িতে ওরস উপলক্ষে প্রতিবছর মেলা হয়। ওই মেলায় হরেক রকমের দোকানদারদের কাছে লাখ লাখ টাকা চাঁদা তুলে ভাগাভাগি করে নেন স্থানীয় দুটি পক্ষের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। এবার ছিল ওই মেলার ১৩৭তম আয়োজন। গত শুক্রবার থেকে তিন দিনব্যাপী এই ওরস ও মেলা শুরু হয়।

আরও পড়ুন

মেলার আয়োজন করেন ওই গ্রামের বাসিন্দা মাজারদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান সাহিদুজ্জামান সাহিদ ও বর্তমান ইউপি সদস্য মো. কবির হোসেন। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, মেলায় কর্তৃত্ব করতে না পেরে বিরোধিতা করে আসছিলেন মাঝারদিয়া গ্রামের বাসিন্দা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. ফারুক হোসেন ও তাঁর লোকজন।

এ দ্বন্দ্বের কারণে ওরস শুরুর দিন থেকেই উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলে আসছিল। এ অবস্থায় শনিবার রাতে মেলাটি বন্ধ করে দেয় উপজেলা প্রশাসন। এর জের ধরে শনিবার রাতে ও রোববার সকালে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় একটি পক্ষের নেতা মো. কবির হোসেন বাদী হয়ে গতকাল রাতে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। এ ঘটনায় নাম উল্লেখ করে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মো. ফারুক হোসেনের পক্ষও মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। সংঘর্ষের সময় ঘটনাস্থল থেকে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।