শ্রীপুরে গৃহবধূর গলাকাটা লাশের পাশে পড়ে ছিল রক্তমাখা বঁটি

লাশ
প্রতীকী ছবি

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার একটি বাড়ির ঘরে পড়ে ছিল গৃহবধূর গলা কাটা লাশ। লাশের পাশে পড়ে ছিল রক্তমাখা বঁটি। আজ রোববার সকালে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নগর হাওলা গ্রামের বাবুল খানের বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

লাশ উদ্ধার হওয়া গৃহবধূর নাম আজিদা বেগম (৩৮)। তিনি নেত্রকোনার কমলাকান্দা উপজেলার হাইলাটি গ্রামের রুমালী আলীর মেয়ে। বাবুল হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি হোটেলে রান্নার কাজ করতেন। ওই ভাড়া বাড়িতে তিনি স্বামীসহ থাকতেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার থেকে আজিদা বেগমের ভাড়া নেওয়া ঘরটি তালাবদ্ধ ছিল। গতকাল সকাল থেকে ওই ঘরের ভেতর থেকে উৎকট পচা গন্ধ বের হচ্ছিল। প্রতিবেশী ভাড়াটিয়ারা বিষয়টি বাড়ির মালিক বাবুল খানকে জানান। পরে তিনি বিষয়টি থানায় জানান। এরপর পুলিশ এসে ঘরের দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে মেঝেতে গৃহবধূ আজিদার গলা কাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে। পাশেই পড়ে ছিল একটি রক্তমাখা বঁটি। পরে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায় পুলিশ।

বাড়ির মালিক বাবুল খান বলেন, ৯ মাস আগে তাঁর টিনশেড একটি ঘর ভাড়া নেন ওই গৃহবধূ। তিন মাস ধরে ওই ঘরে গৃহবধূ তাঁর স্বামীর সঙ্গে থাকতেন। তাঁর স্বামী মাওনা এলাকার কোনো একটি কারখানায় চাকরি করতেন বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। আর ওই গৃহবধূ স্থানীয় একটি খাবার হোটেলে কাজ করতেন।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকবর আলী খান প্রথম আলোকে বলেন, তালাবদ্ধ ঘরে গৃহবধূর গলা কাটা লাশ পাওয়া গেছে। গলার বেশির ভাগ অংশ কাটা ছিল। লাশের পাশ থেকে একটি রক্তমাখা বঁটি উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই বঁটি দিয়েই গৃহবধূর গলা কাটা হয়েছে। তাঁর স্বামীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।