নাসিরনগরে প্রথম নারী চেয়ারম্যান হলেন রোমা আক্তার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের প্রথম নারী চেয়ারম্যান রোমা আক্তারছবি: প্রথম আলো

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতা রোমা আক্তার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাতে বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। নাসিরনগরে প্রথমবারের মতো কোনো নারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর বাবাও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।

নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রোমা আক্তার (ঘোড়া) ৩৩ হাজার ৯০১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক নাসির মিয়ার স্ত্রী। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কুণ্ডা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) টানা তিনবারের চেয়ারম্যান বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ওমরাও খান (আনারস) পেয়েছেন ১৮ হাজার ৩৮০ ভোট। তিনি উপজেলা বিএনপির সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ছিলেন। চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় কেন্দ্রীয় বিএনপি তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে। উপজেলায় মোট ভোটার ২ লাখ ৫৬ হাজার ২৬৬ জন; ভোট পড়েছে ৩৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ।

রোমা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি খুব উচ্ছ্বসিত। জয়ের এই কৃতিত্ব উপজেলাবাসীকে দিতে চাই। তাঁরা ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করেছেন। উপজেলায় প্রথমবারের মতো আমি নির্বাচিত নারী চেয়ারম্যান। বিষয়টি ভালো লাগছে। আর আমার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। উপজেলায় আমিই প্রথম নারী, যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী হয়েছিলাম। এখন নারীরা সবকিছুর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে।’

রোমা আক্তারের বাবা সেনাবাহিনীর সাবেক লেফটেন্যান্ট প্রয়াত গোলাম নূর নাসিরনগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।

উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। অপর দুই প্রার্থী হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এ টি এম মনিরুজ্জামান সরকার (কই মাছ) ও আওয়ামী লীগের সমর্থক উপজেলার প্রমোদ রঞ্জন সূত্রধর (মোটরসাইকেল)।

আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভক্তির কারণে এবং নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় সুবিধা করতে পেরেছেন রোমা আক্তার। তা ছাড়া মনিরুজ্জামান সরকারকে উপজেলাবাসী একবার চেয়ারম্যান হিসেবে দেখেছেন। তাই উপজেলাবাসী নতুন নেতৃত্ব হিসেবে নারী চেয়ারম্যানের প্রতি আস্থা রেখেছেন।