টঙ্গীতে বাসের ধাক্কায় তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীর মৃত্যু

সড়ক দুর্ঘটনা
প্রতীকী ছবি

গাজীপুরের টঙ্গীতে রাস্তা পার হওয়ার সময় বাসের ধাক্কায় তিতুমীর কলেজের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে টঙ্গীর কলেজগেট এলাকার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত বাসের চালক ও হেলপারকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত শিক্ষার্থীর নাম সুহাদ মাহমুদ ফাহিম (২৩)। তিনি শরীয়তপুর জেলার পালং থানার সোনামুখি গ্রামের মৃত মোশারফ হোসেনের ছেলে। টঙ্গীর দত্তপাড়ার শান্তিবাগ এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন তিনি। তিতুমীর কলেজের বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন ফাহিম।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, আজ সকালে একটি কোচিংয়ে ক্লাস শেষে বাসায় ফিরছিলেন ফাহিম। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে টঙ্গীর কলেজগেট এলাকায় রাস্তা পার হতে গেলে হঠাৎ পেছন থেকে আসা একটি বাসের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মাটিতে পড়ে যান তিনি। এ সময় বাসের চাকা তাঁর ওপর দিয়ে গেলে তিনি গুরুতর আহত হন।

আশপাশের মানুষ তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় এশিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে চিকিৎসকের পরামর্শের রাজধানীর উত্তরার একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।

ফাহিমের বন্ধু ইমনুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ফাহিম টঙ্গীর আউপাড়া এলাকায় একটি কোচিংয়ে পড়তে যান। সেখান থেকে প্রতিদিনের মতো সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাসায় ফিরছিলেন। এর মধ্যে টঙ্গীর সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি অ্যান্ড কলেজের সামনে দিয়ে রাস্তা পার হয়ে পূর্ব দিকে যেতে চাইলে হঠাৎ পেছন দিক থেকে আসা জলসিঁড়ি পরিবহন নামের একটি বাসের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মাটিতে পড়ে যান তিনি। এ সময় বাসের চাকা তাঁর পেটের ওপর দিয়ে গেলে গুরুতর আহত হন ফাহিম। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।

ইমনুর রহমান বলেন, ‘ফাহিমরা দুই ভাই। এর মধ্যে সে ছোট। ছোটবেলা থেকেই অনেক মেধাবী ছিল ফাহিম। এর মধ্যেই তাকে এভাবে সড়কে হারাব, তা ভাবতেই পারছি না।’

টঙ্গী পূর্ব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল প্রথম আলোকে বলেন, পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই ফাহিমের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত বাসের চালক ও হেলপারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। নিহতের পেট, বাঁ পা ও ডান হাতে জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে।