শ্রীপুরে ‘অস্ত্রসহ’ আটকের সময় র‌্যাব সদস্যদের অবরুদ্ধের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১৪

এক ব্যবসায়ীকে আটকের ঘটনায় র‌্যাব সদস্যদের অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় গাজীপুরের শ্রীপুরের বরমী ইউনিয়নের বরামা গ্রামেছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের শ্রীপুরে ‘অস্ত্রসহ’ এক ব্যবসায়ীকে আটকের সময় র‌্যাব–১ সদস্যদের অবরুদ্ধের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ সোমবার শ্রীপুর থানায় দায়ের করা মামলায় ২২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

গাজীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (কালিয়াকৈর সার্কেল) মিরাজুল ইসলাম আজ বিকেলে প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, অজ্ঞাতনামা ১০০ থেকে ১৫০ জনের বিরুদ্ধে ও ২২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।

স্থানীয় লোকজনের ভাষ্যমতে, গতকাল রোববার বিকেল সোয়া পাঁচটায় র‌্যাবের একটি গাড়ি বরামা চৌরাস্তায় এসে থামে। সেখানে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার দোকানে গিয়ে র‌্যাব সদস্যরা অভিযান চালান। এ সময় তাঁরা ওই দোকানের মালিক মোশারফ হোসেনকে (৪০) আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটকের কথা জানান। তবে তাৎক্ষণিক র‌্যাব সদস্যদের ভুয়া আখ্যা দিয়ে মোশারফ হোসেনের বাড়ির লোকজনসহ স্থানীয় শতাধিক ব্যক্তি সেখানে জড়ো হয়ে তাঁদের অবরুদ্ধ করেন। তাঁরা সড়কের বিভিন্ন স্থানে বাঁশ ও কাঠ ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আটকের প্রতিবাদ জানান। একপর্যায়ে আটক মোশারফ হোসেনকে তাঁরা র‌্যাবের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আরও পড়ুন

থানা সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় র‌্যাব–১ উত্তরা সদরের ওয়ারেন্ট অফিসার মো. জাফর ইকবাল বাদী হয়ে আজ মামলা করেন। এতে ১০০ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। ঘটনার পরপরই অভিযান চালিয়ে ১৪ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আজ তাঁদের শ্রীপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়। মামলায় তাঁদের প্রত্যেককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।