বিএনপি থেকে বহিষ্কার হয়ে আবু জাফর যা বললেন

শাহ মো. আবু জাফর
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হওয়ায় শাহ মো. আবু জাফরকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ কথা জানা গেছে। শাহ মো. আবু জাফর বিএনপি ছেড়ে বিএনএমে যোগ দেওয়ার আট দিন পর বিএনপির দলীয় এ সিদ্ধান্ত প্রকাশ করা হলো।

আরও পড়ুন

আবু জাফর ফরিদপুর-১ (মধুখালী, বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য পদে ছিলেন। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা। আওয়ামী লীগের রাজনীতি দিয়ে তাঁর শুরু। তিনি প্রথমে বাকশালে যোগ দেন। পরে ১৯৭৯ সালে আওয়ামী লীগের হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আট–দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে এবং ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৩ সালে তিনি জাতীয় পার্টি ছেড়ে বিএনপিতে যোগ দেন। ২০০৫ সালে ফরিদপুর-১ আসনে উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

বিএনপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মো. আবু জাফরকে দলের প্রাথমিক পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আবু জাফরের পাশাপাশি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামানকেও একই অভিযোগে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়েছে। তবে ওই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত কবে ও কোথায় এ–সংক্রান্ত সভা করে নেওয়া হয়েছে, এ সম্পর্কে কোনো তথ্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শাহ মো. আবু জাফর আজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি তো নিজে আগেই বিএনপি ছেড়ে দিয়েছি। যে দল আমি ত্যাগ করেছি, তারা আমাকে বহিষ্কার করল কি করল না, তাতে কিছু যায়–আসে না।’ তিনি ফরিদপুর-১ আসন থেকে বিএনএমের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন বলে জানালেন।

আরও পড়ুন

২০ নভেম্বর ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিএনএমের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন দলটির মহাসচিব মো. শাজাহান। ওই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শাহ মো. আবু জাফর।

জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জুলফিকার হোসেন বলেন, ‘দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কেউ প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনি। সেটি নতুনভাবে প্রমাণিত হতে যাচ্ছে শাহ জাফরের মাধ্যমে। শাহ জাফরের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ইতিহাস এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। একটি প্রবাদ আছে, লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু। লোভ করে তিনি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এখানেই তাঁর রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছে।’