সরিষাবাড়ীতে জামায়াতের ৩৩ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা, গ্রেপ্তার ১

জামালপুর জেলার মানচিত্র

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীর ৩৩ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে সরিষাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদুল হাসান বাদী হয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি করেন।

মামলায় ৮ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ এবং ২০ থেকে ২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। মামলায় মহাদান ইউনিয়ন জামায়াতের সদস্য বেলাল হোসেনকে (৩৮) গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

মামলার এজাহারে জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে নাশকতার উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠকের অভিযোগ করা হয়েছে। তবে জামায়াতের নেতারা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, জনস্রোত ঠেকাতে সরকার পুলিশকে দিয়ে ‘মিথ্যা ও গায়েবি’ মামলা দিচ্ছে।

মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের সেঙ্গুয়া হাজী মোড়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা জড়ো হয়ে নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন। তাঁরা সরকার পতনের জন্য বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা ভাঙচুর, রেললাইন উৎপাটন, রেলস্টেশন ও বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ করার পরিকল্পনা করছিলেন। খবর পেয়ে সরিষাবাড়ী থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে নেতা-কর্মীরা পালিয়ে যান। এ সময় সেখান থেকে মহাদান ইউনিয়ন জামায়াতের সদস্য বেলাল হোসেনকে (৩৮) আটক করে পুলিশ। এজাহারে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনটি অবিস্ফোরিত ককটেল, বস্তাবন্দী ১৫টি ইটের টুকরা ও ১০টি বাঁশের লাঠি জব্দের কথা উল্লেখ করা হয়েছে এজাহারে।

গ্রেপ্তার বেলালের বড় ভাই জিয়াউদ্দিন বলেন, ‘আমার ভাই জামায়াতের সদস্য ঠিক। কিন্তু তিনি কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত না। পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে।’

অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা জামায়াতের আমির মাসুদ রানা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের জনস্রোত ঠেকাতে সরকার জামায়াতের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশকে দিয়ে গায়েবি মামলা করেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।’

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবদুল হান্নান বলেন, গ্রেপ্তার একজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।