উদ্ধার হওয়া টেলিস্কোপটির গায়ে খোদাই করে লেখা আছে ‘ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি’
ছবি: প্রথম আলো

রংপুরে উদ্ধার হওয়া ‘২০০ বছরের পুরোনো টেলিস্কোপ’ যন্ত্রটি পরীক্ষা-নীরিক্ষার জন্য ঢাকায় বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠানোর হবে। আদালতের মাধ্যমে এটি পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাতে উদ্ধার হওয়া যন্ত্রটি এখন রংপুর গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।

রংপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (গোয়েন্দা বিভাগ) কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান আজ সোমবার দুপুরে প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এটি দেখতে খুব সুন্দর ও আকর্ষণীয়। যন্ত্রটি টেলিস্কোপের মতো। যে কেউ দেখলে আকৃষ্ট হবে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রংপুর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গত শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে নগরের গোল্ডেন টাওয়ার আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে যন্ত্রটি উদ্ধার এবং ক্রেতা-বিক্রেতাসহ ছয় ব্যক্তিকে আটক করে। টেলিস্কোপটির গায়ে খোদাই করে লেখা আছে ‘ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি’। এর নিচে লেখা-১৮১৮, এর নিচে বন্ধনীর ভেতরে লেখা আছে-ট্র্যাকার টেলিস্কোপ।

আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান বলেন, প্রতারক চক্রের সদস্যরা বলছেন, এই টেলিস্কোপ যন্ত্রটি দিয়ে নাকি চাঁদ সূর্যের ভেতর পর্যন্ত দেখা যাবে। এটি অনেক মূল্যবান। এমন প্রতারণার ফাঁদ পেতে রংপুরের একটি আবাসিক হোটেলে তিনজন ব্যক্তির কাছে বিক্রির জন্য নিয়ে আসা হয়।

কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান আরও বলেন, এটি চট্টগ্রামের বিভিন্ন বিদেশি জাহাজে শোপিচ হিসেবে থাকে। সেটি চুরি করে এনে মূল্যবান ধাতব বস্ত হিসেবে বিপুল পরিমাণ টাকায় প্রতারণা করে বিক্রি করছিল। এই বিক্রির ফাঁদে পড়েন তিন ব্যক্তি।

গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে আটক ছয়জনের মধ্যে তিনজন ক্রেতা ও তিনজন বিক্রেতা। একজন ক্রেতা ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা মিজানুর রহমান বাদী হয়ে গত শনিবার তিন প্রতারকের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলার আসামিরা হলেন-শাহ আলম (৪৫), আবদুর রাজ্জাক (৫৬) ও জাহিদুল ইসলাম (৪৮। তাঁদের সবার বাড়ি পঞ্চগড় জেলায়। আটক তিন ক্রেতাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন

রংপুরে ‘২০০ বছরের পুরোনো’ টেলিস্কোপ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩