রুমা ছাড়া বান্দরবানের সব উপজেলায় যেতে পারবেন পর্যটকেরা

বান্দরবানের থানচি উপজেলার শঙ্খ পাহাড়ি ছড়া
ফাইল ছবি

বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলায় আজ শনিবার থেকে পর্যটকদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে রুমা উপজেলায় পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। রুমা উপজেলা ছাড়া জেলার অন্য ছয়টি উপজেলায় পর্যটকেরা আগের মতো স্বাভাবিকভাবে ভ্রমণ করতে পারবেন বলে শুক্রবার রাতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজির জারি করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের জারি করা গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বান্দরবান সেনা রিজিয়ন সদর দপ্তরের ১০ ফেব্রুয়ারির চিঠির আলোকে রোয়াংছড়ি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলো। তবে জেলার সাতটি উপজেলার মধ্যে নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে রুমা উপজেলায় স্থানীয় ও দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। অর্থাৎ রুমায় পর্যটকেরা ভ্রমণ করতে পারবেন না। জেলার অন্য ছয়টি উপজেলায় স্বাভাবিকভাবে পর্যটকদের ভ্রমণে কোনো বাধা নেই।

গত বছরের ১৭ অক্টোবর থেকে নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় পর্যটক ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। ২৩ অক্টোবর থানচি ও আলীকদম উপজেলায়ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়। তবে থানচিতে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা ১৬ নভেম্বর ও আলীকদমে ১২ নভেম্বর প্রত্যাহার করা হয়। গত বছরের ৩ অক্টোবর থেকে রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলায় এবং রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার রড়থলি ইউনিয়নে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সমন্বিত জঙ্গিবিরোধী অভিযান শুরু করে। অভিযানের কারণে রুমা, রোয়াংছড়ি, থানচি ও আলীকদমে পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল।

বান্দরবান জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ৮ ফেব্রুয়ারি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ে কুকি–চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) নামের একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের গোপন আস্তানায় সমতলের জঙ্গিগোষ্ঠীর অবস্থান ও প্রশিক্ষণের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চলছে। জঙ্গিবিরোধী এ অভিযানে রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি থেকে এ পর্যন্ত জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার ২৯ জঙ্গি ও কেএনএফের ১৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।