নলডাঙ্গায় ভুয়া এনজিও খুলে গ্রাহকের লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ, গ্রেপ্তার ৪
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলায় ভুয়া এনজিও খুলে ঋণ দেওয়ার নামে প্রতারণা করে গ্রাহকদের কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে ভুক্তভোগী গ্রাহকদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন নলডাঙ্গা উপজেলার হালতি গ্রামের বাসিন্দা জহুরুল ইসলাম (২৮), বাসুদেবপুর সাজিপাড়া গ্রামের মওদুদ রহমান ওরফে মধু (৫২), পূর্ব মাধনগর গ্রামের বাবুল হক ওরফে বাবু (৫৮) ও একই গ্রামের বাসিন্দা প্রকাশ চন্দ্র (৪৮)। তাঁদের মধ্যে জহুরুল ইসলাম এই প্রতারক চক্রের প্রধান। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
নলডাঙ্গা থানার পুলিশ ও নাটোর র্যাব ক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পশ্চিম মাধনগর গ্রামের বাসিন্দা ও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য হাজেরা বেগমের বাড়ি ভাড়া নিয়ে জে অ্যান্ড জে টে´টাইল, নদী সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেড ও সেনা কল্যাণ সংস্থার নামে অনুমোদনহীন এনজিও খুলে কয়েক হাজার গ্রাহককে ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন কয়েক ব্যক্তি। সম্প্রতি কার্যালয়ে তালা দিয়ে আত্মগোপন করেন তাঁরা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা মুঠোফোনে টাকা ফেরত চাইলে প্রতারক চক্র তাঁদের ভয়ভীতি দেখান ও হুমকি দেন। নিরুপায় হয়ে কয়েকজন ভুক্তভোগী র্যাবের নাটোর ক্যাম্পে অভিযোগ দিলে গতকাল দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহুরুল ইসলামসহ চারজনকে আটক করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার তাঁদের নলডাঙ্গা থানায় হস্তান্তর করে র্যাব। পরে উপজেলার পশ্চিম মাধনগর গ্রামের ফরিদ উদ্দিন বাদী হয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেন। ওই মামলায় আটক চারজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতে পাঠায় পুলিশ। আদালতে তাঁরা জামিনের আবেদন করলে শুনানি শেষে আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
র্যাবের নাটোর ক্যাম্পের অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, সহজ-সরল মানুষদের বোকা বানিয়ে এনজিওর নামে একটি চক্র লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সম্প্রতি ওই চক্রের কিছু সদস্য আত্মগোপন করেন। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা র্যাবের কাছে অভিযোগ করলে তারা অভিযান চালিয়ে ওই চার প্রতারককে আটক করে।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, আটক প্রতারকদের থানায় হস্তান্তর করে র্যাব। পরে এক ভুক্তভোগী মামলা করলে তাঁদের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।