সিলেটে যুবদল নেতার ইন্ধনে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ, মাম‌লা

মামলা
প্রতীকী ছবি

সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় যুবদল নেতার প্রত্যক্ষ ইন্ধনে জায়গা দখলের চেষ্টা ও মালামাল লুটের অভিযোগে মামলা হয়েছে। মাম‌লার বিবরণে ইন্ধনদাতা হিসেবে সিলেট মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তবে আসা‌মি হিসেবে তাঁর নাম উল্লেখ করা হয়‌নি।

মঙ্গ‌লবার দুপুরে সিলেটের দ‌ক্ষিণ সু‌রমার কদমতলীর মাহমুদ কমপ্লেক্স হামলা ও লুটপাটের অভিযোগে বুধবার মামলা করেছেন নবাব রোড এলাকার বা‌সিন্দা আবদুল হক। এতে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ জনকে।

মামলার সং‌ক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, সিলেট নগরের দ‌ক্ষিণ সুরমার কদমতলীতে আবদুল হকের পৈতৃক সূত্রে একটি জায়গা রয়েছে। সেখানে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে দ‌ক্ষিণ সু‌রমার কদমতলী এলাকার তাজুল ইসলাম ও তাঁর লোকজন হাম‌লা চা‌লিয়ে আবদুল হকের ব‌্যবসাপ্রতিষ্ঠানে লুটপাট চালান। তাঁর লোকজনের ওপর হামলা করা হয়।

আবদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, হাম‌লাকারীরা যুবদ‌ল নেতা মকসুদ আহমদের সঙ্গে রাজনী‌তিতে সম্পৃক্ত। মূলত তাঁর ইন্ধনে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। আসা‌মিরা প্রভাবশালী হওয়ায় তি‌নি শ‌ঙ্কিত রয়েছেন বলেও জানান।

এ বিষয়ে সিলেট মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদের ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরে বুধবার বিকেলে একা‌ধিকবার ফোন করা হলেও সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়। অবশ্য পরে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার দিন সাংগঠনিক কাজে তিনি ঢাকায় ছিলেন। ঢাকায় অবস্থানকালে তিনি দলের কেন্দ্রীয় সভাপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। ঘটনার সঙ্গে তিনি কোনোভাবে জড়িত নন। তাঁর এলাকা সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় হওয়ায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে তাঁর নাম ইন্ধনদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, জায়গা নিয়ে বিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষকে সেখান থেকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। তি‌নি বলেন, এ ঘটনায় বুধবার এক পক্ষ মামলা করেছে। এ মামলায় সুলতান আহমদ নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ‌্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।