সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবদুল হানিফ মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁর স্ত্রী নাজনীন আক্তার ওরফে কণা সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত ৭ নম্বর ওয়ার্ডের (১৯, ২০ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ড) কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি বর্তমানে এখানকার কাউন্সিলর। সবকিছু ঠিক থাকলে এবার সিলেট নগরের বাসিন্দারা স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই ভোটের মাঠে দেখতে পাবেন।
গত মঙ্গলবার আবদুল হানিফ ও নাজনীন আক্তার পৃথকভাবে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের গণমাধ্যম কর্মকর্তা সৈয়দ কামাল হোসেন প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া আবদুল হানিফ সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও সিলেট সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি। তাঁর স্ত্রী নাজনীন আক্তার কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য।
আবদুল হানিফ পরবর্তী সময় যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বর্তমানে তিনি দলীয় কোনো পদে না থাকলেও দলের রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত। তিনি দলের হয়ে মনোনয়ন চাননি। তবে হঠাৎ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর আলোচনায় আছেন তিনি। টিলাগড় ক্লাবের সাবেক সভাপতি আবদুল হানিফ বর্তমানে টিলাগড় বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
আবদুল হানিফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে তিনি শতভাগ আশাবাদী। স্ত্রী সংরক্ষিত আসনে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে তাঁর মতো করে প্রচার চালাচ্ছেন।’এর সঙ্গে তিনি যোগ করেন, তিনি স্ত্রীর সঙ্গে কোনো পরামর্শ করে প্রার্থী হননি। প্রায় এক মাস চিন্তাভাবনা করে নিজের সিদ্ধান্তে প্রার্থী হয়েছেন। স্বামী-স্ত্রী নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় কোনো সমস্যা দেখছেন না তিনি।
আবদুল হানিফের স্ত্রী বর্তমানে সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নাজনীন আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, তিনি তাঁর জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। ইভিএমের ভোট সুষ্ঠু হবে। স্বামীর মেয়র প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।