চট্টগ্রাম নগরে সন্ধ্যা ৬টায়ও কিছু এলাকায় রয়ে গেল পশুর বর্জ্য
পবিত্র ঈদুল আজহার দিন বিকেল পাঁচটার মধ্যে কোরবানি পশুর বর্জ্য পরিষ্কারের সময়সীমা নির্ধারণ করেছিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। এ জন্য ৪ হাজার ২০০ পরিচ্ছন্নতাকর্মী দায়িত্ব পালন করছেন। তবে বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত ঘুরে নগরের অন্তত ১৪টি এলাকায় কোরবানির পশুর বিভিন্ন বর্জ্য দেখা গেছে।
আজ শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা আই ইউ এ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, প্রায় শতভাগ বর্জ্য পাঁচটার মধ্যেই অপসারণ করা হয়েছে। অনেকে বিকেলে পশু কোরবানি করেছেন, সেসব বর্জ্যও টেনে (অপসারণ করা) দেওয়া হয়েছে।
এরপর প্রথম আলোর এ প্রতিবেদক মোটরসাইকেলে নগরের প্রবর্তক থেকে মেহেদীবাগ, চটেশ্বরী, ব্যাটারি গলি, কাজীর দেউড়ি, জামালখান, চেরাগী পাহাড়, আন্দরকিল্লা, লালদীঘি, সদরঘাটের বান্ডেল রোড, কোতোয়ালি, নিউমার্কেট, বাটালি রোড, সিআরবি পর্যন্ত ঘুরেছেন।
প্রবর্তক মিমি সুপার মার্কেটের সামনে, চটেশ্বরী রোডের একপাশে, ব্যাটারি গলির মুখে, চেরাগী পাহাড় মোড়ের একটু সামনে সড়কের ওপর, বান্ডেল রোডে সড়কের ওপর, বাটালি রোডে ঢোকার মুখে কোরবানির পশুর বর্জ্য দেখা গেছে। জামালখান প্রেসক্লাবের পাশে ৫টা ৪৫ মিনিটে ও চেরাগী পাহাড় মোড়ে ৫টা ৫০ মিনিটে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের বর্জ্য অপসারণের কাজ করতে দেখা গেছে।
নির্ধারিত সময়ে বর্জ্য অপসারণ না হওয়া প্রসঙ্গে জানতে আজ সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে সিটি মেয়র শাহাদাত হোসেনের মুঠোফোনে কল করা হয়। এ সময় রিং হলেও তিনি ধরেননি।
এর আগে বেলা তিনটার দিকে নগরের পুরোনো বিমান অফিস এলাকায় বর্জ্য অপসারণের কাজ পরিদর্শন করেন মেয়র শাহাদাত হোসেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বেশির ভাগ কোরবানি পশুর বর্জ্য বেলা দেড়টার মধ্যে অপসারণ করা হয়েছে।
মেয়র বলেন, ‘সকাল থেকে বাকলিয়া, চকবাজার, লালখান বাজার, কাপাসগোলা, দামপাড়াসহ অনেক জায়গায় আমি ঘুরেছি। বেলা ১১টার মধ্যে অনেক জায়গায় ক্লিন হয়ে গেছে।’
কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের প্রস্তুতি নিয়ে ২ জুন দুপুরে পরিচ্ছন্নতা বিভাগের সঙ্গে সভা করেন মেয়র শাহাদাত হোসেন। নগরের টাইগারপাসে সিটি করপোরেশনের অস্থায়ী প্রধান কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বর্জ্য অপসারণের বিষয়ে প্রকৌশল ও পরিচ্ছন্নতা বিভাগকে নির্দেশনা দেন মেয়র। দুই বিভাগের প্রস্তুতি জানানো হয় তাঁকে।
সভায় সিটি করপোরেশনের মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেছিলেন, ‘আমরা ছয় থেকে আট ঘণ্টা অর্থাৎ বিকেল পাঁচটার মধ্যে নগর থেকে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করব। এ লক্ষ্যে আমাদের প্রায় ৪ হাজার ২০০ কর্মী কাজ করবেন। নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে মোট ৩৬৯টি গাড়ি বর্জ্য অপসারণে কাজ করবে। বর্জ্য অপসারণের জন্য ডাম্প ট্রাক, কম্পেক্টর, পে-লোডার কাজ করবে। পানির ভাউজার থাকবে রক্ত পরিষ্কার করার জন্য।’