আবেদন করলে খালেদা জিয়ার জামিন শর্ত সাপেক্ষে বৃদ্ধি করা হবে: আইনমন্ত্রী

শুক্রবার দুপুরে ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ার কসবার বিনাউটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক
ছবি: প্রথম আলো

খালেদা জিয়ার জামিন ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হবে। তাঁর পরিবার থেকে আবেদন করলে আগের মতো শর্ত সাপেক্ষে জামিনের মেয়াদ ছয় মাসের বৃদ্ধি করা হবে।

ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের সৈয়দাবাদ সরকারি আদর্শ কলেজ মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা শেষে শুক্রবার দুপুরে খালেদা জিয়ার জামিন প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এসব কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী আনিসুল দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের অভ্যাসই হচ্ছে ষড়যন্ত্র করা। তারা সামনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। তারা সব সময় পেছনের দরজা দিয়ে, জানালা ভেঙে দরজা তৈরি করে ঢোকার চেষ্টা করবে। আমরা বাংলাদেশের জনগণ পেছনের দরজা দিয়ে তাদের ক্ষমতায় আসতে দেব না।’


আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়াকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন এবং তিনি সরকারের পদে থেকে সরকার সম্পর্কে মিথ্যা বলেছেন। তিন দিন ধরে অপেক্ষা করেছি, তিনি পদত্যাগও করেননি। সেই জন্য তাঁকে ওই পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে অন্য মাত্রার দেশে, উন্নত মাত্রার দেশে পৌঁছে দিয়েছেন।’

মন্ত্রী বিএনপির উদ্দেশে বলেন, ‘ওরা বলত, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে মসজিদে উলুধ্বনি হবে। তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অবৈধভাবে দেশ চালিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা ৫৬০টি উপজেলায় মডেল মসজিদ বানিয়েছেন। আমরা মানুষের দুঃখ কষ্টে, হাসি-কান্নায় আছি। আমরা হচ্ছি, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। আমরা যদি জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করি, আমরা যদি আবারও ভোট দিয়ে উনাকে নির্বাচিত করি, তাহলে বাংলাদেশের ভালো হবে, আওয়ামী লীগের ভালো হবে।’

ড. ইউনুস প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অপরাধ করলে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা হতে পারবে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হতে পারবে না। দেশে আইন আছে, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ না। যতই বিবৃতি দেওয়া হউক না কেন, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। কারও কথায় চলবে না।’

বর্ধিত সভায় বিনাউটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. কামাল হোসেন সভাপতিত্ব ও সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল হামিদ সঞ্চালনা করেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদুল কাওছার ভূঁইয়া, কসবা পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম হাক্কানী, কসবা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ছিদ্দিকা, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আবদুল আজিজ, কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কাজী মো. আজহারুল ইসলাম, মো. আনিছুল হক ভূইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সফিকুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন, বিনাউটি ইউপির চেয়ারম্যান মো. বেদন মিয়া প্রমুখ।