দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করে জঙ্গিরা পালিয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

খোলা জিপে চড়ে প্যারেডস্থল পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। আজ মঙ্গলবার গাজীপুরে কাশিমপুর কারাগারে
ছবি: সংগৃহীত

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করে জঙ্গিরা পালিয়েছে। আমাদের দুর্বলতা ছিল, সেই ফাঁকফোকর দিয়ে এরা বেরিয়ে গেছে। এই দুর্বলতা কে তৈরি করে দিল, কারা এ জন্য দায়ী, কাদের গাফিলতি আছে, তা খোঁজা হচ্ছে। এ ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে আজ মঙ্গলবার সকালে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

কাশিমপুর কারাগারে আজ ৬০তম ব্যাচ কারারক্ষীদের শপথ গ্রহণ ও সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জঙ্গিদের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় গঠিত কমিটির সদস্যরা এখনো প্রতিবেদন জামা দেয়নি। ওই প্রতিবেদন পাওয়া গেলে সেই অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বন্দী জঙ্গিরা যেন সমাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতা চালাতে না পারে, সে বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০ নভেম্বর ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ফটকে পুলিশকে মারধর ও চোখে পিপার স্প্রে ছিটিয়ে নিষিদ্ধ সংগঠন আনসার আল ইসলামের দুই সদস্যকে ছিনিয়ে নিয়ে যান জঙ্গিরা। তাঁরা হলেন মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত সামির ও মো. আবু ছিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব। ওই দুজনসহ ১২ আসামিকে সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (সিএমএম) হাজতখানায় নেওয়া হচ্ছিল।

আজ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলা আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান নবীন কারারক্ষীদের সশস্ত্র অভিবাদন গ্রহণ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি খোলা জিপে চড়ে প্যারেডস্থল পরিদর্শন করেন এবং মার্চপাস্ট উপভোগ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী ও কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এস এম আনিসুল হক।

অনুষ্ঠানে সেরা নবীন কারারক্ষীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেরা ফায়ারার হিসেবে মেহেরপুর জেলা কারাগারের নবীন কারারক্ষী ইমানুর রহমান, ড্রিলে প্রথম নরসিংদী জেলা কারাগারের কারারক্ষী রনি দেওয়ান, পিটিতে প্রথম খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারের কারারক্ষী রবিউল ইসলাম পুরস্কার পেয়েছেন। আর সব বিষয়ে চৌকস কারারক্ষী নির্বাচিত হন মানিকগঞ্জ জেলা কারাগারের কারারক্ষী মিন্টু ঘোষ। ছয় মাস মেয়াদের ৬০তম ব্যাচ কারারক্ষীদের এ প্রশিক্ষণ কোর্সে ৩০১ জন কারারক্ষী অংশ নেন।