আমীর খসরু, আসলামসহ বিএনপি-জামায়াতের ৪৫৩ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলায় অভিযোগ গঠন শেষে বেরিয়ে যাচ্ছেন বিএনপির নেতা–কর্মীরা। আজ দুপুরে চট্টগ্রাম আদালতে বারান্দায়প্রথম আলো

১০ বছর আগের বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলায় চট্টগ্রাম বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর ৪৫৩ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার সপ্তম অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শামসুল আরেফিন শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

আসামিদের পক্ষের এক আইনজীবী কামরুল ইসলাম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতে পুলিশ এই মামলা করে। তাই আসামিদের নির্দোষ দাবি করে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষ তার বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ৪৫৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

মামলার আসামিদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী, নগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন, সদস্যসচিব আবুল হাশেম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য শামসুল আলম এবং জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী রয়েছেন।

শুনানি উপলক্ষে সকাল থেকে মামলার আসামি বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীরা চট্টগ্রাম আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় হাজির হন। আসামির সংখ্যা বেশি হওয়ায় এজলাসের বাইরে আদালতের বারান্দায় দাঁড়ান তাঁরা।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি নাসিমন ভবনের সামনে সমাবেশ ডেকেছিল ২০-দলীয় জোট। ওই দিন সভা চলাকালে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি হয় নেতা-কর্মীদের। একপর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন নেতা-কর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আসলাম চৌধুরীসহ ৩০২ জনকে গ্রেপ্তার করে। আসামিদের মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী এখনো কারাগারে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে পুলিশের ওপর হামলা, বিস্ফোরক আইন ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ধারায় নগরের কোতোয়ালি থানায় মামলা করে।

তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ৪ জুলাই চট্টগ্রাম আদালতে পুলিশের ওপর হামলা, বিস্ফোরক আইন ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনের তিনটি ধারায় পৃথক তিনটি অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলাটি সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে এবং পুলিশের ওপর হামলার মামলাটি চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারাধীন।