পৃথিবীর কোথাও অবাধে প্রবেশ নাই, তথ্য লাগলে ১০০ বার যাবেন: ডেপুটি গভর্নর

রংপুর বিভাগে গ্রাহক সচেতনতা সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিচ্ছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর খুরশীদ আলম। শনিবার দুপুরে পঞ্চগড় চেম্বারের কনভেনশন হলেছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর খুরশীদ আলম বলেছেন, ‘বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষেধ। কে বলল? বাংলাদেশ ব্যাংকে আমরা তিন-তিনজন মুখপাত্র নিয়োগ দিয়েছি। আপনার তো তথ্যের দরকার। তথ্যের দরকার হলে আপনি ১০০ বার যাবেন। প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানে একটা করে মুখপাত্র থাকে কথা বলার জন্য। আমরা তিনজন মুখপাত্র দিয়েছি।...আপনি তথ্যের জন্য ওনার কাছে যাবেন। উনি স্যাটিসফাই করতে না পারলে চারজন ডেপুটি গভর্নর আছি, আমরা আপনাকে উত্তর দেব।’

আজ শনিবার দুপুরে পঞ্চগড় চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি কনভেনশন হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনটিগ্রিটি অ্যান্ড কাস্টমার সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্টের আয়োজনে ও ব্যাংক এশিয়া পিএলসির সহযোগিতায় রংপুর বিভাগে গ্রাহক সচেতনতা সপ্তাহ উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

খুরশীদ আলম আরও বলেন, ‘এরপরও বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের অবাধ প্রবেশ নিষেধ। অবাধ বলতে কী? অবাধে কোথায় যায়? যেখানে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানগুলো নানা ধরনের পলিসি করে, যেখানে একটা কোম্পানি আরেকটা কোম্পানিকে কী তথ্য দেবে? আপনি যতই বন্ধু হন একজন জার্নালিস্টকে দেবে? অ্যাবসার্ট। পৃথিবীর কোনো দেশে নাই।...ব্যক্তিগতভাবে যদি কোনো কর্মকর্তার কাছে যেতে চান, যান। আমার কাছে আসবেন, ওয়েলকাম, আসেন। আমার যতটা দেওয়া সম্ভব, সিক্রেসি আইনে কাভার করে না, যত দূর খোলামেলা বলা যায়, বলব। তাহলে কেন বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে আমরা ঢুকতে পারছি না?’

আরও পড়ুন

ব্যাংকগুলোর উদ্দেশে খুরশিদ আলম বলেন, ‘আমরা ব্যাংকের ম্যানেজার পোস্টিং দিয়ে বসে আছি। সে কী করছে, না করছে আমরা সুপারভাইজ করছি না। এভাবে চলবে না। এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। ব্যবহারে সফট, কিন্তু নিজেকে কঠোর করতে হবে। এটা সেন্ট্রাল ব্যাংকের মেসেজ।’

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই ডেপুটি গভর্নর বলেন, ‘অর্থনীতি দিয়ে দেশটাকে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব আমার-আপনার সবার। এ ব্যাপারে আমরা কম্প্রোমাইজ করব না। প্রত্যেকের দরজার সামনে যেন গ্রাহকের কী করণীয়, কী সুযোগ-সুবিধা দেবেন, লেখা থাকে। সার্ভিস চার্জ কাটার আগে গ্রাহকদের মেসেজ দিন। অর্থনীতির ব্লাড হলো ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টর। সুতরাং আপনাদের যেমন সরকারের ট্যাক্স আদায় করতে হবে, তেমনি গ্রাহকেরা যেন হ্যারাস না হন, অসন্তুষ্ট না হন, সেটাও দেখতে হবে।’

আরও পড়ুন

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক নুরুল আমীন, রংপুরের নির্বাহী পরিচালক রুহুল আমিন, ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টর সাপোর্ট অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং ডিপার্টমেন্টের পরিচালক লিজা ফাহমিদা, ফাইন্যান্সিয়াল ইনটিগ্রিটি অ্যান্ড কাস্টমার সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্টের পরিচালক শায়েমা ইসলাম ও আবু হেনা হুমায়ুন কবীর এবং ব্যাংক এশিয়া পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাফিউজ্জামানসহ বিভিন্ন ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন