আক্কেলপুরে খনন করা পুকুরের মাটিতে পাওয়া গেল কালো পাথরের মূর্তি
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় খনন করা পুকুরের মাটিতে পাওয়া গেছে কালো পাথরের মূর্তি। খবর পেয়ে আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কাশিড়া ঘোষপাড়া গ্রাম থেকে মূর্তিটি উদ্ধার করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনজুরুল আলম। পরে মূর্তিটি জেলা প্রশাসনের ট্রেজারি শাখায় জমা দেওয়া হয়।
ইউএনও মনজুরুল আলম বলেন, উদ্ধার করা কালো পাথরের মূর্তিটির বাঁ পাশের কিছু অংশ ভাঙা আছে। মূর্তিটির ওজন ৫৬০ গ্রাম ও উচ্চতা ৬ দশমিক ২ ইঞ্চি। মূর্তিটি জেলা প্রশাসনের ট্রেজারি শাখায় জমা দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী, উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দেড় মাস ধরে উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের কাশিড়া ঘোষপাড়া কালিতলা পুকুরের খননকাজ চলছে। পুকুরের মাটি একই গ্রামের বেলি বেগম নামে এক নারী কিনে নিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় পুকুরের কেনা মাটি বাড়ির আঙিনায় বিছিয়ে দেওয়ার সময় বেলি বেগম পাথরের মূর্তিটি দেখতে পান। তিনি মূর্তিটি স্থানীয় কারিগর বিনয়কে দেখান। বিনয় মূর্তিটি তাঁর কাছে রেখে দেন। ঘটনাটি আজ শনিবার সকালে জানাজানি হয়। খবর পেয়ে আজ বেলা ১১টার দিকে ইউএনও মনজুরুল আলম ঘোষপাড়া গ্রাম গিয়ে স্থানীয় মানুষের সহযোগিতায় মূর্তিটি উদ্ধার করেন।
বেলি বেগম বলেন, ‘আমি বিপ্লব সাখিদারের কাছ থেকে পুকুরের মাটি কিনেছিলাম। ওই মাটি থেকে কালো একটি পাথরের মূর্তিটি পেয়ে স্থানীয় মূর্তি কারিগর বিনয়কে দিয়েছিলাম। প্রশাসনের লোকজন এসে আজকে মূর্তিটি নিয়ে গেছে।’
পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান ফজলুল করিম বলেন, এটি একটি দুর্লভ মূর্তি বলে মনে হচ্ছে। তাঁদের জাদুঘরে এ ধরনের কালো পাথরের মূর্তি নেই। মূর্তিটি পোড়ামাটির টেরাকোটা আছে। এটি একটি অমূল্য প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদ।
কারিগর বিনয় বলেন, মূর্তিটি পাওয়ার পর তাঁরা প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। এটা সাধারণ পাথরের শিব-পার্বতীর মূর্তি বলে মনে হচ্ছে। প্রশাসনকে মূর্তির পাওয়ার বিষয়টি জানানো হয়। আজ প্রশাসনের কাছে মূর্তিটি তুলে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সেলিম হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর আজ সকালে মূর্তিটি হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে ইউএনও স্যারের কাছে মূর্তিটি হস্তান্তর করা হয়েছে।’