পঞ্চগড়ে মুখোশধারীদের হামলায় আহত নৈশপ্রহরীর মৃত্যু, ডাকাতির মামলায় গ্রেপ্তার ৫
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় একটি হাসকিং মিলে মুখোশধারীদের হামলায় আহত নৈশপ্রহরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মারা যাওয়া ওই নৈশপ্রহরীর নাম লাবু ইসলাম (৫৫)। আজ শুক্রবার ময়নাতদন্ত শেষে তাঁর লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় করা মারধর ও ডাকাতির মামলায় স্থানীয় যুবদল এক নেতাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সেনাবাহিনীর সহায়তায় গত বুধবার রাতভর দেবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় ডাকাতি ও হামলার কাজে ব্যবহৃত একটি চাইনিজ কুড়ালসদৃশ দেশীয় কুড়াল এবং একটি চেইন স্টিক জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেন দেবীগঞ্জ পৌর যুবদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক ও দেবীগঞ্জ পৌরসভার বাজারপাড়া এলাকার বাসিন্দা আজিজুল বারী সোহেল (৩৯), দেবীগঞ্জ উপজেলা শ্রমিক দলের কর্মী ও দেবীগঞ্জ পৌরসভার মধ্যপাড়া এলাকার বাসিন্দা জাকির হোসেন (৩৮), দেবীগঞ্জ পৌরসভার বোডিংপাড়া এলাকার সাজু ইসলাম (২৫), মধ্যপাড়া এলাকার হৃদয় ইসলাম ওরফে বেলী (২০) এবং তালতলা এলাকার সমির ফকির (৩৫)। গত ১৫ অক্টোবর গভীর রাতে দেবীগঞ্জ পৌরসভার সাহাপাড়া এলাকায় মেসার্স সাহা হাসকিং মিলে একদল মুখোশধারী হামলা ও লুটপাট চালায়। এ সময় সেখানে থাকা দুজন নৈশপ্রহরীকে মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়। গুরুতর আহত নৈশপ্রহরী লাবু ইসলামকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এ ঘটনায় ১৬ অক্টোবর ওই হাসকিং মিলের মালিক নন্দন কুমার সাহা বাদী হয়ে দেবীগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মারধর ও ডাকাতির মামলা করেন। সেই মামলায় ওই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গতকাল বিকেলে গ্রেপ্তার পাঁচজনকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় হৃদয় ইসলাম (বেলী) আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোয়েল রানা মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার পাঁচজনের মধ্যে একজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অপর চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। আগামী সোমবার রিমান্ড শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।