এ সময় তাদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আজিজুর রহমান। পরে জেলা প্রশাসক বাগেরহাটের চলমান কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে এনডিসি দলকে ব্রিফিং করেন। এ সময় সুন্দরবন, ষাটগম্বুজ মসজিদ ও হজরত খান জাহানের (রহ.) মাজারের আন্তর্জাতিক ভ্রমণ গন্তব্য হিসেবে তাৎপর্য ও সম্ভাবনা তুলে ধরা হয়। এ ছাড়া স্থানীয় জনগণের আর্থসামাজিক বিষয় ও বিভিন্ন উন্নতিকল্পে দিকনির্দেশনা নিয়ে আলোচনা হয়।


এনডিসির এই প্রতিনিধিদলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আটজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ও তিনজন মেজর, নৌবাহিনীর একজন কমোডর, বিমানবাহিনীর একজন এয়ার কমোডর, সিভিল সার্ভিসের তিনজন যুগ্ম সচিব ও বন্ধুপ্রতিম দেশের (মিসর, ভারত, কেনিয়া, নাইজেরিয়া, শ্রীলঙ্কা ও সুদান) সশস্ত্র বাহিনীর ছয়জন সদস্য রয়েছেন বলে জানা গেছে।

এর আগে সোমবার বিকেলে মোংলা হয়ে সুন্দরবনের যায় প্রতিনিধিদলটি। সুন্দরবনের করমজল বন্য প্রাণী প্রজননকেন্দ্র ও পর্যটনকেন্দ্র ঘুরে দেখে তারা। আজ সকাল সোয়া ১০টায় প্রতিনিধিদলটি বাগেরহাটের ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদে আসে। তারা বাগেরহাট জাদুঘর, ষাটগম্বুজ মসজিদ ও মসজিদ–সংলগ্ন ঘোড়া দিঘি ঘুরে দেখে। এ সময় বিশ্ব ঐতিহ্য ঐতিহাসিক মসজিদের শহর বাগেরহাট সম্পর্কে তাদের ব্রিফ করেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর পরিচালিত বাগেরহাট জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান মো. যায়েদ।

বাগেরহাট ভ্রমণ শেষে প্রতিনিধিদলটি খুলনার জাহানাবাদ ক্যান্টনমেন্টে যায়।