নড়াইলে কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ ও হেনস্তার অভিযোগ, তদন্ত কমিটি

নড়াইলের কালিয়া উপজেলার মহাজন বাজারে সার ডিলার জামিল আহম্মেদের দোকানঘর পরিদর্শন করছেন তদন্ত দলটি৷ গতকাল রোববার বিকেলেছবি: প্রথম আলো

নড়াইলের কালিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইভা মল্লিকের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবির অভিযোগ তদন্তে মাঠে নেমেছে তিন সদস্যের একটি দল। অভিযোগের প্রায় এক মাস পর গতকাল রোববার বিকেলে তাঁরা অভিযোগকারী বিএডিসির সার–ডিলার জামিল আহম্মেদের দোকান পরিদর্শন করেন। এ সময় তাঁরা স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন।

তদন্ত দল ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ জুন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দেন ডিলার জামিল আহম্মেদ। সেখানে তিনি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইভা মল্লিকের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবি, হেনস্তা ও ডিলারশিপ বাতিলের হুমকির অভিযোগ করেন।

এরপর ২২ জুলাই জেলা প্রশাসকের নির্দেশে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা সৌমিত্র সরকারকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। অন্য সদস্যরা হলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) ঋতুরাজ সরকার ও অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) জাহিদুল ইসলাম বিশ্বাস।

তদন্ত কমিটির প্রধান সৌমিত্র সরকার বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের নির্দেশে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা। আমরা তদন্তে গিয়েছিলাম, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।’

জামিল আহম্মেদের অভিযোগ, প্রতিবার সার গুদামে তোলার পর চালানে কৃষি কর্মকর্তার সই নিতে গেলে ইভা মল্লিক নানা টালবাহানা করেন এবং মোটা অঙ্কের ঘুষ দাবি করেন। ঘুষ না দেওয়ায় তাঁকে হেনস্তা করা হয় এবং ডিলারশিপ বাতিলের হুমকি দেওয়া হয়। প্রতিবাদ করায় তিনি প্রায়ই ডিলারদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইভা মল্লিক তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘জামিল মৌসুমি ব্যবসায়ী। মৌসুমে মাল তোলেন, চালানে সই করিয়ে নেন। সর্বশেষ ফেব্রুয়ারিতে সই নিয়েছেন। মার্চে মাল তোলেননি। এরপর এপ্রিল-মে মাসে মাল তুলে নড়াইলে বিক্রি করে দিয়েছেন। আমি তাঁকে নিয়মিত মাল তুলে নিজ এলাকার কৃষকদের কাছে বিক্রি করার পরামর্শ দিয়েছি। এতে তিনি বিরক্ত হয়ে এসব মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।’