৩১ ঘণ্টা পর নেত্রকোনায় গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক

গ্যাস সরবরাহ
প্রতীকী ছবি

নেত্রকোনায় দীর্ঘ ৩১ ঘণ্টা পর গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ১২টায় তিতাসের গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে। এর আগে নদ খনন করতে গিয়ে তিতাস গ্যাসের মূল সঞ্চালন লাইন কাটা পড়ে। এতে গত শুক্রবার বিকেল পাঁচটা থেকে সারা জেলায় আবাসিক, বাণিজ্যিকসহ সব ধরনের লাইনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ ছিল।

স্থানীয় বাসিন্দা, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার শ্যামগঞ্জের ডেঙ্গা এলাকায় সোয়াইর নদের খননকাজ চলছে। গতকাল বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ওই এলাকার চর মইলাকান্দা স্থানে খননকাজ করার সময় খননযন্ত্রে লেগে তিতাস গ্যাসের লাইন কেটে যায়। এ সময় প্রচুর শব্দে গ্যাস বের হতে থাকে। এরপর পুরো জেলায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। সিএনজি স্টেশনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় সংকটে পড়েন চালকেরা। শহরের বাসাবাড়িতে রান্নাবান্নার কাজ ব্যাহত হয়। এতে জেলার প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার গ্রাহক ভোগান্তিতে পড়েন।

তিতাস গ্যাস নেত্রকোনা কার্যালয়ের প্রকৌশলী সুমঙ্গল গোলদার প্রথম আলোকে বলেন, ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জ থেকে নেত্রকোনায় গ্যাস সঞ্চালন লাইন রয়েছে। শ্যামগঞ্জের ডেঙ্গা এলাকায় উন্নয়নকাজ চলছে। সেখানে ভেকু মেশিনে মাটি কাটার সময় অসাবধানতাবশত গ্যাস সরবরাহের মূল লাইন কাটা পড়ে। তখন দুর্ঘটনার আশঙ্কায় ময়মনসিংহ থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। লাইনটি সংস্কারে গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে লোকজন পৌঁছে কাজ শুরু করেন।

গতকাল রাত পৌনে ১২টার পর থেকে শহরে কিছু কিছু এলাকায় গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়। তবে রাত ১২টার দিকে সব গ্রাহকের লাইনে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হয়।

নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সারওয়ার জাহান বলেন, একটি দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছিল। তিতাসের লোকজন নিয়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় লাইনটির সংস্কারকাজ করা হয়েছে। দীর্ঘ সময় গ্যাস না থাকায় মানুষের কষ্ট পোহাতে হয়েছে। গ্রাহকেরা ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করায় কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।