‘পাঁচ বছর পরপর ভোটের এই মজাই আলাদা’

রংপুরে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচারণা জমে উঠেছে। পোস্টারে ছেয়ে গেছে পুরো শহর। আজ সকালে নগরের মুন্সিপাড়া এলাকায়
ছবি: মঈনুল ইসলাম

দলবদ্ধ হয়ে নারীরা ছুটছেন এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়ি। পাড়ার মোড়ে মোড়ে জটলা বেঁধে আড্ডাও জমেছে। মাইক বাজিয়ে নানা গানের সুরে ভোট ও দোয়া চাচ্ছেন অনেকে। টাঙানো হয়েছে পোস্টার। রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন ঘিরে শহরের বিভিন্ন এলাকার পাড়া–মহল্লায় চাঞ্চল্য বেড়েছে। ২৭ ডিসেম্বর এই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। এর আগে গত শুক্রবার প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।

গতকাল শনিবার রাতে নগরের বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রতীকসংবলিত পোস্টার ঝুলছে। দড়ি দিয়ে রাস্তার ওপর বিদ্যুতের এক খুঁটি থেকে অন্য খুঁটি, এক গাছ থেকে আরেক গাছের মধ্যে এসব পোস্টার ঝোলানো হয়েছে। পোস্টারের আকার একই, রং সাদাকালো।

গতকাল সন্ধ্যা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত নগরের মুন্সিপাড়া, কেনারীপাড়া, কাচারি বাজার, ধাপ, পাশারিপাড়া, রাধাবল্লভ, হনুমানতলা, ইঞ্জিনিয়ারপাড়াসহ আরও কিছু এলাকায় দেখা যায়, পাড়ার মোড়গুলোয় মানুষের জটলা আগের তুলনায় বেড়েছে। চায়ের দোকানগুলোতেও বেড়েছে বেচাবিক্রি। শুক্রবার প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার এক দিনের মধ্যেই পাড়ার মোড়ে মোড়ে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের কার্যালয় খোলা হয়েছে। সেখানে টেবিল-চেয়ার পেতে ভোটের নানা কার্যক্রম আর সমীকরণে ব্যস্ত প্রার্থীদের সমর্থকেরা।

মুন্সিপাড়া মোড়ে সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা মোস্তফা জামান বলেন, মানুষের এত দিন তেমন একটা কাজ ছিল না। এখন কমবেশি সবাই কাজে নেমে গেছে। পাড়ার মোড়গুলো বিভিন্ন বয়সী মানুষের আনাগোনায় জমজমাট হয়ে উঠেছে। ভোটের নানা খোশগল্পে মানুষজনের সময়ও বেশ কেটে যাচ্ছে।

কেরানীপাড়া এলাকার বাসিন্দা রোকসানা পারভীন বলেন, এবার নির্বাচনের পরিবেশ শুরুতেই ভালো লাগছে। অনেক মানুষের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। সবাই উৎসাহ নিয়ে কথা বলছেন। সবার মধ্যে ভোটের আমেজ শুরু হয়েছে।

বেলা দুইটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত মাইকের মাধ্যমে ভোটের প্রচারণা চালানো যায়। এ জন্য সে সময় সব প্রার্থীর কর্মীরা প্রচারণায় বের হন। এতে শব্দদূষণ হচ্ছে। এ বিষয়ে রেজাউল করিম নামে এক রাজনীতিবিদ বলেন, এই কয়েক দিন মাইকের শব্দে কান ঝালাপালা হবে। তাতে কোনো অসুবিধা নেই। পাঁচ বছর পরপর সিটির এই ভোটের মজাই আলাদা। কত মানুষ আনাগোনা করছেন মানুষের দ্বারে। এসব দেখে বেশ ভালোই লাগছে। মার্কা পাওয়ার পর ভোটের উৎসব যেন শুরু হয়েছে।