রাজশাহী–৩ (পবা–মোহনপুর) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী শফিকুল হকের (মিলন) সঙ্গে একত্রে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন দলের জেলা কমিটির সদস্য রায়হানুল আলম। তিনিও এ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পবা উপজেলার নওহাটা মহিলা কলেজ মাঠে ‘তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় শফিকুল হক ও রায়হানুল আলম হাত তুলে একসঙ্গে কাজ করার ঘোষণা দেন। তাঁরা জানান, দলের বৃহত্তর স্বার্থে ব্যক্তিগত প্রতিযোগিতা বা মতভেদ পেছনে রেখে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করাই এখন প্রধান লক্ষ্য। নির্বাচনে দলীয় ঐক্য আরও জোরদার করতে তাঁরা মাঠপর্যায়ে যৌথভাবে কাজ করবেন। এ সময় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
আলোচনা সভায় রায়হানুল আলম রায়হান বলেন, ‘এই আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মনোনীত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করব। দলীয় ঐক্যের মাধ্যমে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করা হবে।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সম্পাদক শফিকুল হক বলেন, ‘বিএনপি একটি বড় দল। এখানে মনোনয়নপ্রত্যাশী থাকবেন—এটাই স্বাভাবিক। তবে দলীয় স্বার্থে আমরা সবাই এক। আজকের (গতকাল) এ সমাবেশ তার প্রমাণ।’
এর আগে বিএনপি প্রথম ধাপে মনোনয়ন ঘোষণার পর এ আসনে শফিকুল হকের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামেন রায়হানুল আলম ও এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির সাবেক মন্ত্রী কবীর হোসেনের ছেলে নাসির হোসেনের অনুসারীরা। সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ মিছিলের মতো কর্মসূচি পালন করেছেন তাঁরা। তবে চলতি মাসে তাঁদের আন্দোলন দেখা যায়নি।
পবা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ বলেন, ‘দলের ভেতরে প্রতিযোগিতা থাকতেই পারে। তবে ধানের শীষের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। রায়হান ভাই ধানের শীষের পক্ষে এসেছেন—এটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত।’
নওহাটা পৌরসভা ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বলেন, ‘এখন আর দলে কোনো বিভেদ নেই। সবাই এক হয়ে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করব।’
পবা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলী হোসেন বলেন, নির্বাচন নিয়ে যে চক্রান্ত চলছে, তার জবাব জনগণ ব্যালটের মাধ্যমে দেবে। আজ থেকে দলের ভেতরের ভেদাভেদ শেষ।