রাজশাহীতে সোনা ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতের হানা, স্বামী-স্ত্রীকে কুপিয়ে মালামাল লুট

সোনা ব্যবসায়ীর এই বাড়িতে ডাকাতি করতে হানা দেয় ডাকাতেরা। এ সময় স্বামী-স্ত্রীকে কুপিয়ে আহত করা হয়। আজ মঙ্গলবার সকালে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের দামনাশ গ্রামেছবি: প্রথম আলো

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় এক বাড়িতে ঢুকে একজন সোনা ব্যবসায়ী ও তাঁর স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েছে ডাকাতেরা। এ সময় তারা ওই ঘর থেকে টাকাপয়সা ও সোনা লুট করেছে বলে জানিয়েছেন আহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা।

আজ মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের দামনাশ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিরা হলেন দামনাশ গ্রামের বাসিন্দা খোকন চন্দ্র (৪০) ও তাঁর স্ত্রী দীপ্তি রানী (৩২)। দামনাশ বাজারে খোকনের একটি জুয়েলারি দোকান আছে। এ দম্পতিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও আহত ব্যক্তিদের স্বজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজ ভোর সাড়ে চারটার দিকে পাঁচ-ছয়জনের একদল ডাকাত দামনাশ গ্রামের ব্যবসায়ী খোকন চন্দ্রের একতলা পাকা বাড়ির ছাদে ওঠে। পরে ছাদ থেকে সিঁড়ি হয়ে নিচে নামে। তারা বাড়ির চারটি কক্ষের তিনটি বাইরে থেকে ছিটকিনি বন্ধ করে দেয়। এসব ঘরে ব্যবসায়ীর মা, সন্তান ও স্বজনেরা থাকেন। পরে ডাকাতেরা ব্যবসায়ীর শয়নকক্ষে ঢোকে। এ সময় তারা স্বামী-স্ত্রীকে ঘুম থেকে তুলে আলমারি ও সিন্দুকের চাবি চায়। একপর্যায়ে তারা সোনা ও অর্থ লুট করতে থাকে। এ সময় খোকন চন্দ্র ও দীপ্তি রানী বাধা দিলে ডাকাতেরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁদের আঘাত করে। ঘরে থাকা সোনা ও অন্যান্য মালামাল নিয়ে চলে যায় তারা। পরে আহত ব্যক্তিদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাঁদের উদ্ধার করেন। পরে তাঁদের চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ডাকাতেরা বাড়িতে থাকা সোনা, অর্থ ও একটি মোটরসাইকেল নিয়ে চলে গেছে বলে জানিয়েছেন স্বজনেরা
ছবি: প্রথম আলো

আহত খোকনের শ্যালিকা প্রথম আলোকে বলেন, ডাকাতেরা বাড়িতে থাকা সোনা, অর্থ ও একটি মোটরসাইকেল নিয়ে চলে গেছে। খোকন চন্দ্রের মা পুষ্পা রানী (৭১) বলেন, তাঁর ঘরে ডাকাতেরা বাইরে থেকে ছিটকিনি দিয়ে রেখেছিল। ভোরে ছেলে ও ছেলের স্ত্রীর চিৎকারে লোকজন এসে তাঁকে উদ্ধার করেন।

বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, দুর্বৃত্তরা দস্যুতার উদ্দেশ্যে বাড়িতে ঢুকে সোনা ব্যবসায়ী ও তাঁর স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। ঘরের কোনো মালামাল, টাকাপয়সা ও সোনাদানা লুটের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ঘরের ভেতরে থাকা আলমারি ও ড্রয়ার অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেছে। তবে একটি মোটরসাইকেল নিয়ে গেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আহত সোনা ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ব্যাপারে থানায় এখনো মামলা হয়নি। পুলিশ তদন্ত করছে। তবে বাজারে থাকা সিন্দুকটিও অক্ষত অবস্থায় দেখা গেছে।